রোববার (২৩ জুলাই) রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে ১৫ জুলাই রাত ৯টার দিকে তাকে কুপিয়ে আহত করা হয়।
মাহবুবের বাড়ি জেলা শহরের পাবলিক হল রোডে। তিনি গোপালগঞ্জ সদর সাব রেজিস্ট্রার অফিসের স্ট্যাম্প ভেন্ডার ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কাজী মাহবুবের মেয়ে স্থানীয় বীণাপাণি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলে যাতায়াতের সময় মেয়েটিকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন আকাশ নামে এক বখাটে। মেয়ের কাছে এ কথা শুনে মাহবুব তাকে কয়েকবার নিষেধ করলেও তা না শুনে আরও বেশি উত্ত্যক্ত করতে থাকেন তিনি। পরে মাহবুব অভিযোগ দিলে পুলিশ আকাশকে ধরে নিয়ে আবার মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। এর প্রতিশোধ নিতে ১৫ জুলাই রাতে আকাশসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী মাহবুবকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাতে তিনি মারা যান।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাংলানিউজকে জানান, বিষয়টি তিনি লোকমুখে শুনেছেন। তবে এখনও কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।
তিনি আরও জানান, মরদেহ গোপালগঞ্জ আনার পর সোমবার (২৪ জুলাই) ময়নাতদন্ত করা হবে। এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
টিএ/এসআই