কিন্তু তাতে কী সকলে ঘুম থেকে উঠেই কলেজে যাওয়া, প্রতিদিনের পড়া শেষ করা, অন্যান্য ছাত্রদের চেয়ে আলাদ কিছু করা, ক্লাশে প্রথম হওয়া এসব চিন্তায় দিন কেটে যেতো শিফার। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়ার পর তার সঙ্গে আলাপ করতে গেলে তার পরিবারের সদস্যরা এরকম কথাই জানান বাংলানিউজকে।
এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় হবিগঞ্জে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বিগত কয়েক বছরের তুলনায় কম। এতে করে হতাশ পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক এবং শিক্ষকরা। পুরো জেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ১০ জন। এর একজন নবীগঞ্জের শিফা বেগম।
আনন্দে আত্মহারা শিফা বাংলানিউজকে বলেন, পরিবারের কেউ আমাকে কোনোদিন পড়ার কথা বলেননি। আমি নিজের মতো করেই পড়েছি। যার কারণে আমি আমার পুরস্কার পেয়েছি।
মেধাবী শিফা আক্তারের ভাই আক্তারুজ্জামান কামাল বাংলানিউজকে বলেন, একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখি, শিফা পড়ার টেবিলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছে। আর রাতের খাবার পড়ে রয়েছে টেবিলে। এভাবে প্রায়ই পড়তে পড়তে টেবিলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়তো শিফা। সে তার পরিশ্রমের ফল পেয়েছে। তার এই প্রাপ্তিতে আমরা পরিবারের সবাই আনন্দিত।
বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, ২৩ জুলাই, ২০১৭
আরএ