রোববার (২৩ জুলাই) দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিইউজে) এই সভার আয়োজন করে।
ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা দায়েরের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হচ্ছে। যেখানে ওই মামলার আসামির জামিনও হচ্ছে না। এই ধারার অপব্যবহারের ফলে মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমে চাপ বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে তা বাতিলের দাবি উঠেছে। এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্নস্থানে এই ধারায় যেসব মামলা হয়েছে তার কোনোটিই সরকার করেনি। ব্যক্তি পর্যায়ে ধারার অপব্যবহার করে মামলা করা হচ্ছে। যেই এই ধারায় মামলা করুক না কেন, এতে সংবাদকর্মীসহ মুক্ত চিন্তার মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, আইনমন্ত্রী ইতোমধ্যেই বলেছেন এই ধারা সংশোধন করা হচ্ছে। এর পরিবর্তে যে ধারাই আসুক সেখানে যেন অপব্যবহারের সুযোগ না থাকে আমরা সেই দাবিও জানাই।
তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে অনলাইন, ফেসবুক বা অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমে যেন অপপ্রচার বা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে ত্রাস বা নশকতা করা না যায় সেজন্য অবশ্যই আইন থাকতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সভায় বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন, বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মোজাম্মেল হক লালু, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহ-সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য্য শংকর, যুগ্ম মহাসচিব জিএম সজল, বগুড়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম নয়ন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আরিফ রেহমান, সাংবাদিক নেতা আব্দুল মোত্তালিব মানিক, আব্দুর রহিম বগরা, মিলন রহমান, মোহন আখন্দ, নাজমুল হুদা নাসিম, মাসুদুর রহমান রানা, এসএম কাওসার, এইচ আলিম প্রমুখ।
নবম ওয়েজ বোর্ড গঠনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, এ জন্য প্রধানমন্ত্রী নীতিগত সম্মতি দিয়েছেন। অচিরেই তা গেজেট আকারে প্রকাশ হবে। এই ওয়েজ বোর্ডে টিভি মিডিয়াকেও সংযুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, কালো টাকার মালিকদের হাতে যখন গণমাধ্যম চলে যায় তখন তারা সেটিকে জনস্বার্থ বা রাষ্ট্রীয় স্বার্থে ব্যবহার না করে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেন। এতে করে গণমাধ্যমের ভূমিকা ও সাংবাকিতা নানাভাবে প্রশ্নের মুখে পড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
এমবিএইচ/আইএ