রোববার (২৩ জুলাই) বিকেলে জাতীয় সংসদে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই প্রস্তাব করা হয়।
জ্বালানি তেলে ভেজাল দেয়ার ক্ষেত্রে এই কৌশল অবলম্বন করছেন মূলত পেট্রোল পাম্প মালিকরা।
কনডেনসেটের ব্যবহার ও বরাদ্দ নীতিমালা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। এছাড়া গ্যাসকূপ খননের জন্য দরপত্র ও কার্যাদেশ প্রদান নিয়েও আলোচনা হয়।
কমিটি সক্ষমতা অনুসারে সমানুপাতিক হারে কোম্পানিগুলোকে কনডেনসেট সরবরাহের সুপারিশ করে। একই সঙ্গে নীতিমালা অমান্য করে কনডেনসেট সরবরাহের অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়। এছাড়া কনডেনসেটের অপব্যবহার ও দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণ এবং আর্থিক অনিয়ম ও ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়।
বিশেষ আইন (বিদ্যুৎ) অনেক গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে সর্বক্ষেত্রে এর প্রয়োগ না করে পিপিআর পদ্ধতি অবলম্বন করে বিভিন্ন সেবা ও দ্রব্যাদি ক্রয়ের সুপারিশ করে কমিটি। এছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিশেষ আইনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরা হয়।
কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য মো. আতিউর রহমান আতিক, মো. আবু জাহির, এম আবদুল লতিফ এবং আ ফ ম বাহাউদ্দিন (নাছিম) বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
এসএম/এমজেএফ