গেল এক সপ্তাহের ভাঙনে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বিশাল এলাকা। এতে প্রায় অর্ধশত বসত ঘর ভেঙে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
রোববার ওই এলাকার ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সফিউল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, বিগত কয়েক বছর পদ্মার ভাঙনে ইউনিয়নের মানচিত্র অনেকটা পাল্টে গেছে। এলাকার একমাত্র উচ্চ বিদ্যালয়টি একাধিকবার স্থানান্তর করা হয়েছে। এ এক সপ্তাহে নদীতে উত্তাল ঢেউ থাকায় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
ওই শিক্ষক আরো বলেন, উজান থেকে প্রবল বেগে নেমে আসা ঢল মেঘনা নদী দিয়ে বঙ্গোপসাগরে প্রবাহিত হওয়ায় রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের চর এলাকায় মেঘনা ও পদ্মা নদীর মিলনস্থলে প্রচন্ড ঢেউ এবং স্রোত সৃষ্টি হয়। যার কারণে নদী ভাঙন এবারের বর্ষায় ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে।
সরকারিভাবে জরুরি পদক্ষেপ না নিলে কয়েকশ’ পরিবার ছিন্নমূল হয়ে পড়বে বলেও জানান তিনি।
রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী বাংলানিউজকে বলেন, বিগত কয়েকদিনে ইউনিয়নের মান্দের বাজার, বালিয়ারচর, গোয়ালনগর ও লিমারার চরের বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। বিষয়টি আমি লিখিতভাবে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানিয়েছি। তারা ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মণ্ডল বলেন, প্রতি বছরই বর্ষা এলে চরাঞ্চলে ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙন এলাকাগুলো পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
এসআই