ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘পরিচয় জেনে ফেলায় এএসপি মিজানকে হত্যা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
‘পরিচয় জেনে ফেলায় এএসপি মিজানকে হত্যা’ সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ‘ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে হাইওয়ে পুলিশের এএসপি মিজানুর রহমানকে প্রাইভেটকারে ওঠানো হয়। তবে পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় জানার পর কোনো সাক্ষী-প্রমাণ না রাখতে এএসপি মিজানকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন ছিনতাইকারীরা’।

রোববার (২৩ জুলাই) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।

হত্যাকাণ্ডে জড়িত শাহ আলম ওরফে বুড্ডাকে (৬২) গ্রেফতারের বিষয় জানাতে ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মনিরুল ইসলাম বলেন, ছিনতাইকারী চক্রটি সাধারণ লোকদের যাত্রী পরিবহনের নাম করে প্রাইভেটকারে উঠিয়ে সর্বস্ব লুটে নিতো। ঘটনার দিন গত ২১ জুন শাহ আলম এবং তার সহযোগী মিন্টু, কামাল ও ফারুক ফজরের আযানের পর উত্তরা ৩নং সেক্টরের মসজিদের পাশে অবস্থান করছিলেন। এএসপি মিজান কর্মস্থল সাভারের উদ্দেশ্যে রওনা হলে ওই ছিনতাইকারীরা সাভারের যাত্রী সেজে তাকে প্রাইভেটকারে ওঠান।

তিনি বলেন, প্রাইভেট কারে ওঠানোর পর ছিনতাইকারীরা জানতে পারেন যে, এএসপি মিজান পুলিশের লোক। তখন সাক্ষী-প্রমাণ না রাখতে হত্যার পরিকল্পনা করেন তারা।

শাহ আলম প্রাইভেটকারের সামনে বাম পাশে বসা ছিলেন। এক পর্যায়ে পেছনে বসা মিন্টু এএসপি মিজানের মাথায় লাঠি দিয়ে জোরে আঘাত করেন। পরে তারা প্রাইভেটকারে রাখা ঝুট কাপড় এএসপি মিজানের গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে মিরপুর বেড়িবাঁধ এলাকার রাস্তার পাশে মরদেহ ফেলে পালিয়ে যান।

মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, এ ধরনের কয়েকটি চক্র ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় প্রতিনিয়ত ছিনতাই করে থাকে। পুলিশ ও সাংবাদিক পরিচয় পেলে তারা হত্যার চেষ্টা চালান। এর আগে টাঙ্গাইলে এক এএসআই ও টঙ্গিতে এটিএন বাংলার ক্যামেরাম্যান মিঠুকেও একই কায়দায় হত্যা করা হয়েছিল।

এএসপি মিজান হত্যাকাণ্ডে জড়িত বাকি তিনজনকে গ্রেফতার ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। শাহ আলমকে রিমান্ডে নিতে আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।

গত ২১ জুন রাজধানীর রূপনগর থানার মিরপুর বেড়িবাঁধ এলাকার রাস্তার পাশ থেকে এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদারের (৫০) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ছোট ভাই মাসুম তালুকদার। পরে মামলাটি ডিএমপি’র গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) স্থানান্তর করা হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
পিএম/এএসআর
**
এসপি মিজানুর রহমানকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ