শনিবার (২২ জুলাই) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে সকালে উপজেলার করচাডাঙ্গী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবার (২১ জুলাই) গৃহবধূ ফরিদা পারভীন বাদী হয়ে স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির পাঁচজনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
ফরিদা উপজেলার করচাডাঙ্গী গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২১ এপ্রিল রফিকুল ইসলামের সঙ্গে ফরিদার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই পরিবারের সদস্যের পরামর্শে যৌতুকের দাবিতে রফিকুল তার ওপর নির্যাতন শুরু করেন। এরই মধ্যে ফরিদা গর্ভবতীও হন। স্বামীর নির্যাতনে তার পেটের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। একপর্যায়ে রফিকুল বিদেশ চলে যান। স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর ফরিদা তার বাবার বাড়িতে থাকতেন।
গত ২৩ জুন রফিকুল বিদেশ থেকে বাড়িতে এলেও ফরিদার কোনো খোঁজ নেননি। এ কারণে ফরিদা বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান আবুল হোসেনকে জানান। এরপর চেয়ারম্যান রফিকুলকে খবর দিয়ে তাকে ঘরে তুলে নেয়ার অনুরোধ জানান। চেয়ারম্যানের অনুরোধে রফিকুল তাকে বাড়িতে নিয়ে আবারও পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। ফরিদা যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে ১০ জুলাই সকালে রফিকুল ও তার পরিবারের সদস্যরা তার ওপর নির্যাতন শুরু করেন। একপর্যায়ে তার মুখে বিষ ঢেলে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এসময় তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
বালিয়াকান্দি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ফরিদার মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তার শাশুড়ি রুপবান বেগম ও দেবর নজরুলকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৭
আরবি/