ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রাস্তা যেন খাল, দুর্ভোগে নাকাল!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৪ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৭
রাস্তা যেন খাল, দুর্ভোগে নাকাল! মেট্রোরেলের জন্য খোঁড়া হয়েছে রাস্তা, কিন্তু তাতে পানি জমে হয়ে গেছে যেন খাল। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: বাসে রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর থেকে ১১ ও ১২ নম্বর হয়ে কালশী মোড় যেতে আগে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট লাগতো। এখন এইটুকুন পথ পেরোতে অন্তত ৩০ মিনিট থেকে সর্বোচ্চ দেড়ঘণ্টাও লেগে যায়।

কারণ কী? যানজট কমাতে মেট্রোরেলের কাজ চলছে এই এলাকায়। সেজন্য রাস্তার দু’পাশে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি।

আর এজন্যই গাড়ি চলতে হচ্ছে ‘থেমে থেমে’। জমে গেছে পানি, তাতে জমাট বেঁধেছে ময়লা আবর্জনা।                                          ছবি:  জিএম মুজিবুরকিন্তু ভুক্তভোগীরা খোঁড়াখুঁড়ির অংশকে বলছেন খাল। তাদের অভিযোগ, চরম অব্যবস্থাপনার কারণে দুর্ভোগে নাকাল হতে হচ্ছে এই এলাকার বাসিন্দা ও রুটের যাত্রীদের। ‍‘খাল’র পাশে এই ময়লা-আবর্জনার মধ্যেই খাবার দোকান।  ছবি:  জিএম মুজিবুরমিরপুর ১১ নম্বর থেকে ১২ নম্বর মোড় পার হওয়া পর্যন্ত অনেকটা পুলসিরাত অতিক্রমের মতো অবস্থা হয় প্রত্যেকটা যানবাহনের।  

বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে ভোগান্তিতে যোগ হয় চরম মাত্রা। মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর থেকে ১২ নম্বর মোড়ের মধ্যবর্তী স্থানে যে ময়লা আবর্জনার স্তূপ রাখা হয়, সেসব ওই পানিতে মিশে গিয়ে ছড়াতে থাকে বিকট দুর্গন্ধ। রাস্তার পাশেই যাবতীয় জঞ্জাল স্তূপ করে রেখে চলছে মেট্রোরেলের কাজ।  ছবি: জিএম মুজিবুর১২ নম্বর মোড়ে আবার তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। এই মোড়ে এসে প্রতিদিন হাজারো গাড়ি গতিপথ পরিবর্তন করে। এমন গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত মোড়টার অবস্থা স্পষ্টত ‘চরম বেহাল’। খানাখন্দে চাকা পড়লে যানবাহন যেন হেলে পড়ে যায় অবস্থার মুখে পড়ে। মালামাল নিয়ে ‘খাল’র ওপর তৈরি ‘অস্থায়ী সেতু’ পার হচ্ছেন কয়েকজন।  ছবি: জিএম মুজিবুরকেবল মিরপুর ১২ নম্বরের এদিকটা নয়, ১০ নম্বর থেকে কাজীপাড়া-শেওড়াপাড়া-আগারগাঁওয়ের দিকে যাওয়ার রাস্তায়ও চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। দশা সেই বেহাল।

যানজট কমানোর সুদূরপ্রসারী এই কাজে অভিযোগ নেই এলাকার বাসিন্দা বা রুটের যাত্রীদের। তারা দুষছেন অব্যবস্থাপনাকেই। দুর্গন্ধ-ময়লা-আবর্জনার মধ্যেই খাবার দোকান।  ছবি: জিএম মুজিবুরবলছেন, বর্ষা মৌসুমে কাজের ধীরগতিই এই অবস্থা তৈরি করেছে। এরপর কার্যক্রমের যাবতীয় সরঞ্জাম রাস্তার পাশে ফেলে রাখা, রাস্তায় জমে থাকা পানিতে ময়লা-আবর্জনা মিশে জলাবদ্ধতাকে দীর্ঘস্থায়ী করা, খানাখন্দ সংস্কারের কোনো উদ্যোগ না নেওয়া এবং সরু রাস্তায় যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করতে থাকার কারণে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণহীন করে তুলেছে। রাস্তাজুড়ে কাঁদা জমে যাওয়ায় হাঁটতে গেলেই পিছলে পড়ার ভয়।  ছবি: জিএম মুজিবুরএই অবস্থায় অবিলম্বে সমাধানের উদ্যোগ না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নেবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৭
জিএমএম/জেএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।