কারণ কী? যানজট কমাতে মেট্রোরেলের কাজ চলছে এই এলাকায়। সেজন্য রাস্তার দু’পাশে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি।
বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে ভোগান্তিতে যোগ হয় চরম মাত্রা। মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর থেকে ১২ নম্বর মোড়ের মধ্যবর্তী স্থানে যে ময়লা আবর্জনার স্তূপ রাখা হয়, সেসব ওই পানিতে মিশে গিয়ে ছড়াতে থাকে বিকট দুর্গন্ধ। ১২ নম্বর মোড়ে আবার তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। এই মোড়ে এসে প্রতিদিন হাজারো গাড়ি গতিপথ পরিবর্তন করে। এমন গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত মোড়টার অবস্থা স্পষ্টত ‘চরম বেহাল’। খানাখন্দে চাকা পড়লে যানবাহন যেন হেলে পড়ে যায় অবস্থার মুখে পড়ে। কেবল মিরপুর ১২ নম্বরের এদিকটা নয়, ১০ নম্বর থেকে কাজীপাড়া-শেওড়াপাড়া-আগারগাঁওয়ের দিকে যাওয়ার রাস্তায়ও চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। দশা সেই বেহাল।
যানজট কমানোর সুদূরপ্রসারী এই কাজে অভিযোগ নেই এলাকার বাসিন্দা বা রুটের যাত্রীদের। তারা দুষছেন অব্যবস্থাপনাকেই। বলছেন, বর্ষা মৌসুমে কাজের ধীরগতিই এই অবস্থা তৈরি করেছে। এরপর কার্যক্রমের যাবতীয় সরঞ্জাম রাস্তার পাশে ফেলে রাখা, রাস্তায় জমে থাকা পানিতে ময়লা-আবর্জনা মিশে জলাবদ্ধতাকে দীর্ঘস্থায়ী করা, খানাখন্দ সংস্কারের কোনো উদ্যোগ না নেওয়া এবং সরু রাস্তায় যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করতে থাকার কারণে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণহীন করে তুলেছে। এই অবস্থায় অবিলম্বে সমাধানের উদ্যোগ না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নেবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৭
জিএমএম/জেএম/এইচএ/