ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

হজ ব্যবস্থাপনাকে যুগোপযোগী করা হয়েছে 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪২ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৭
হজ ব্যবস্থাপনাকে যুগোপযোগী করা হয়েছে 

ঢাকা: আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে হজ ব্যবস্থাপনাকে যুগোপযোগী করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

তিনি বলেছেন, এবার সর্বোচ্চ সংখ্যক বাংলাদেশি হজযাত্রী সৌদি আরব যাচ্ছেন। পবিত্র হজব্রত পালন করতে গিয়ে হাজিরা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হন তা চিহ্নিত করে সমাধান করা হয়েছে।

অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনসহ (নিবন্ধন) সর্বোচ্চ তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করে এবারের হজ ব্যবস্থাপনাকে যুগোপযোগী করা হয়েছে।  

শনিবার (২২ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর আশকোনায় হজক্যাম্প এবারের হজ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।  

শেখ হাসিনা বলেন, সারাদেশে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে, যেখান থেকে হজে যেতে ইচ্ছুক মানুষ অনলাইনে নিবন্ধন করতে পেরেছেন। হজ বিষয়ক ওয়েবসাইটও করা হয়েছে। সেখানে হজের সব বিষয়াবলীও দেওয়া হয়েছে। আছে মোবাইলে এসএমএস (খুদে বার্তা) দিয়ে তথ্য জানার ব্যবস্থাও।  

তিনি বলেন, হজযাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে এবার থেকে প্রাক-নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। আগে হজের টাকা জমা দিতে গিয়ে অনেকে প্রতারণার শিকার হতেন। এসব ঘটনায় জড়িত এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।  

হজ ব্যবস্থাপনার চিত্র তুলে ধরে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশের হজযাত্রীরা জেদ্দা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সেখানে তাদের সুবিধার্থে সরকার একটি প্লাজা ভাড়া নিয়েছে। যেখানে চিকিৎসা, বিশ্রামসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারছেন তারা।  

‘আগে বাড়ি ভাড়া নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হতো। বিএনপির সময়ে যখন আমি বিরোধী দলের নেতা ছিলাম, তখন আমাকেও এসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। সৌদি আরব সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এসব সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশি হাজিদের জন্যে মক্কা ও মদিনায় বাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। কোথায় কোথায় সমস্যা আছে সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি। সৌদি সরকারকে জানিয়েছি। হজ ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করতে হজ মিশন মক্কায় স্থানান্তর করা হয়েছে। ’

‘হজ ব্যবস্থাপনার সব ধরনের অনিয়ম দূর করেছি। এখন হাজিদের প্রতারণা কিংবা ভোগান্তিতে পড়তে হবে না। ওমরাহ নীতিও করা হয়েছে। আশা করছি আগামীতে হজ ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত হবে। ’

শেখ হাসিনা বলেন, পবিত্র ধর্মকে নিয়ে রাজনৈতিক ব্যবহার করা চলবে না। এই শান্তির ধর্মকে ব্যবহার করে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করা যাবে না। অল্প কয়েকজনের উগ্রতা ও বিভ্রান্তির কারণে সমগ্র মুসলিম উম্মাহ বিপদে পড়ছে। নিরীহ মানুষ মারার অধিকার কারও নেই। ’

‘ধর্মের নামে ভ্রান্ত পথের এসব মানুষ যাতে সুপথে ফিরে আসে এবং সব ধর্মের মানুষ যেন শান্তিতে বসবাস করতে পারেন, উন্নয়নের কাজে শামিল হন-সেজন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন,’ হজযাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন শেখ হাসিনা।  

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমস্ত বিশ্বের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন। বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জন্য ‘হিজবুল বাহার’ নামে একটি জাহাজ কিনেছিলেন। যাতে কম খরচে হজ যেতে পারেন হাজিরা। তিনি ১১৬ টি দেশের স্বীকৃতি আদায় করেন। মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে ১৯৭৪ সালে ওআইসির সদস্যপদ লাভ করে বাংলাদেশ।

‘ইসলামের প্রসারে জাতির পিতা ইসলামিক ফাউন্ডেশন, মাদ্রাসা বোর্ড স্থাপন করেন। জাতীয় মসজিদের জায়গা, বিশ্ব ইজতেমার জায়গা, কাকরাইল মসজিদের জায়গা দেন। একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম হিসেবে ইসলামের প্রচার-প্রসারে পদক্ষেপ নেন। ইসলামের মূলনীতি সকল ধর্মকে সম্মান জানানোর কাজও করেন তিনি। ’

শেখ হাসিনা বলেন, কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যেন মূল ধারার সঙ্গে একাত্ম হতে পারে, চাকরি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ পায় সেজন্যই কওমি শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক কালচারাল সেন্টার গড়ার প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলো হবে একই ডিজাইনে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৭, আপডেট: ১২১৭ ঘণ্টা
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।