শুক্রবার (২১ জুলাই) দিনগত রাত পৌনে ২টার দিকে মনিরুলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত মনিরুল নাটোরের সিংড়া উপজেলার মাঝগ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ জানায়, ওই ছাত্রাবাসের ৬০৪ নম্বর কক্ষে থাকতেন মনিরুল। বিকেল থেকে তার কক্ষের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। রাতে দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, ডাবল সিটের একটি রুমে থাকতেন মনিরুল। বিকেলে তার রুমমেট বাইরে যান। রাত ৯টার দিকে ছাত্রাবাসে ফিরে তিনি দেখেন তাদের কক্ষ ভেতর থেকে বন্ধ।
এ সময় অনেক ডাকাডাকি করেও মনিরুলের সাড়া পাওয়া যায়নি। বারবার মোবাইলে ফোন দেওয়া হয়। কিন্তু একটি কলও রিসিভ হয়নি। পরে ছাত্ররা বিষয়টি ছাত্রাবাসের মালিককে জানান। ছাত্রাবাসের মালিক থানায় খবর দেন। এ সময় পুলিশ গিয়ে মনিরুলের অভিভাবকদের খবর দেন।
রাতে মনিরুলের বাবা-মা রাজশাহী পৌঁছালে তাদের উপস্থিতিতেই দরজা ভাঙা হয়। এ সময় কক্ষের ভেতর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মনিরুলের মরদেহ পাওয়া যায়। মরদেহটি একটি বিছানার চাদর দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছিল। পরে ওই ছাত্রের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কলেজ ছাত্র মনিরুল গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতভাবে বলা যাবে।
আপাতত এই ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হবে বলে জানিয়েছেন ওসি আমান উল্লাহ।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৭
এসএস/এমএ