বিপিসি সূত্র জানায়, ভবনটিতে থাকবে নিজস্ব বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, ৩৭৫টি আসবাবপত্র ও ৬২০ বর্গমিটারের এপ্রোচ রোড। ৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আগস্ট ২০১৭ থেকে জুন ২০২০ মেয়াদে ভবনটি নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পর্যটন ও প্রশাসন) মোহাম্মদ ইমরান বাংলানিউজকে বলেন, মহাখালীতে স্বল্প পরিসরে কোনো রকম পর্যটনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পর্যটনকে গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে বিবেচনা করা হলেও এর নিজস্ব কোনো ভবন নেই। তাই আমরা বড় আঙ্গিকে আগারগাঁওয়ে ১৩তলা বিশিষ্ট আধুনিক পর্যটন ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
১৯৭২ সালে বিপিসি গঠিত হয় এবং ১৯৭৩ সালে কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটি শুরুর পর থেকে হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট নির্মাণ, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করে আসছে। পর্যটন সংক্রান্ত সহায়ক কাজ সম্প্রসারণ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে বিপিসি। তবে প্রধান কার্যালয় ভবন না থাকায় বিপিসি ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড দৈনন্দিন কাজ কর্ম করতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়েছে। মহাখালীর স্বল্প পরিসরের ভবনটিতে পর্যটনের বৃহৎ কাজ কর্ম শেষ করতে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
পর্যটন শিল্প বিকাশের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে দ্রুত সময়ে ভবনটি নির্মাণ করতে চায় মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করে এমন অনেক স্থান রয়েছে বাংলাদেশের ভৌগলিক সীমানায়। বাংলাদেশে আছে পৃথিবীর একমাত্র দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার, সুন্দরবন, সাগর কন্যাখ্যাত কুয়াকাটা, কোরাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, কাপ্তাই লেক, সিলেটের চা বাগান, সুনামগঞ্জের হাওর, ময়মনসিংহের গারো পাহাড়, সিলেটের খাসিয়া জৈন্তা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের নৈসর্গিক এলাকা। সম্ভাবনাময় এসব এলাকায় পর্যটক আকৃষ্ট করার আগেই পর্যটনের প্রধান কার্যালয় সবার আগে নির্মাণ করা দরকার বলে মনে করে মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৭ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৭
এমআইএস/এসএইচ