ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

হুমায়ূন আহমেদ রাতারাতি টেলিভিশন নাটক বদলে দিয়েছিলেন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৭
হুমায়ূন আহমেদ রাতারাতি টেলিভিশন নাটক বদলে দিয়েছিলেন হুমায়ূন আহমেদ রাতারাতি টেলিভিশন নাটক বদলে দিয়েছেন

ঢাকা: শক্তিশালী গল্প ও অসাধারণ সংলাপের মধ্যমে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ রাতারাতি বাংলাদেশের টেলিভিশন নাটককে একদম বদলে দিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

শুক্রবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘কে কথা কয়’ উপন্যাসের অবলম্বনে ‘নদ্দিউ নতিম’ নাটকের প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।  

'ম্যাড থেটারের' প্রযোজনায় নাটকটির নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন আসাদুল ইসলাম।

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, আমি যখন অভিনয় শুরু করি তখন নাটকের ধারা ছিল অন্যরকম। আমরা নাটকে কাব্যিক ভাষায় কথা বলতাম। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদ এসে রাতারাতি বাংলাদেশের টেলিভিশন নাটককে একদম বদলে দিয়েছেন। টেলিভিশন নাটককে নিয়ে গেছেন মানুষের মুখের ও মনের কথায়। তারা নাটকের সব থেকে বড় উপাদানটি ছিল শক্তিশালী গল্প ও অসাধারণ সংলাপ।

তিনি বলেন, এখনকার নাটকে বিভিন্ন কমেডির চরিত্র বা সংলাপ দিয়ে দর্শকদের হাসানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদের নাটকে বিশেষ কোনো কমেডি চরিত্রের প্রয়োজন ছিল না। তার নাটকের সংলাপগুলো ঠিকঠাকভাবে বলতে পারলেই দর্শকরা তা উপভোগ করতেন।

হুমায়ূন আহমেদ নাটকের মাধ্যমে সমাজের অনেক অন্যায় তুলে ধরেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দেশে কেউ মুক্তিযুদ্ধ বা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারতো না। সে সময় হুমায়ূন আহমেদের একটি নাটকের সংলাপ সবার মুখে মুখে পরিচিত পেয়েছিল তা হলো ‘তুই রাজাকার’। আমি মনে মনে ভাবতাম এই সংলাপটি কেন এতো জনপ্রিয় হয়েছিল? পরে আমি বিশ্লেষণ করে দেখালাম তখনকার সামরিক শাসন আমলে ধর্ম বন্ধ করা একটি পরিবেশ ছিলো। মানুষ কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারতো না। পরে বুঝতে পারি হুমায়ূন আহমেদের নাটকের সংলাপ ‘তুই রাজাকার’ অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানুষের প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে গিয়েছিল।

এ সময় প্রদর্শনী হলে নাটকটির কলাকুশলী ও নাটকটি দেখার জন্য আগত দর্শকরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৩ ঘণ্টা জুলাই ২১, ২০১৭
এমএসি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।