ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

টানা বর্ষণে ফুলগাজী-পরশুরামের ১১ গ্রাম প্লাবিত

সোলায়মান হাজারী ডালিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৬ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৭
টানা বর্ষণে ফুলগাজী-পরশুরামের ১১ গ্রাম প্লাবিত বাঁধ ভেঙে ঢুকছে পানি/ছবি: বাংলানিউজ

ফেনী: গত তিনদিনের টানা বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে ফেনীর ফুলগাজী এবং পরশুরাম উপজেলার ১১টি গ্রাম। জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে এ দু’উপজেলার।

শুক্রবার (২১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ বিপদসীমার ১৯৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছিলো মুহুরী ও কহুয়া নদীর পানি।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কোহিনুর ইসলাম বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঘনিয়া মোড়া, দৌলতপুর, দেড়পাড়া গ্রাম ও পরশুরামের খন্ডল হাই বাজারের দক্ষিণে বাঘমারা নামক স্থান দিয়ে মুহুরী, কহুয়া, সিলোনীয়া নদীর বাঁধ ভেঙে ১১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

প্লাবিত গ্রামগুলো হলো- উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর, পুর্ব ঘনিয়া মোড়া, পশ্চিম ঘনিয়া মোড়া, সাহাপাড়া, দেড়পাড়া, নিলক্ষী, গোসাইপুর ও পরশুরামের খন্ডল হাই ও বাঘমারা।

এতে অসংখ্য ঘর-বাড়ি, পুকুরে চাষ করা মাছের খামার ও ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। এছাড়া রাস্তা-ঘাটেরও ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা।

অনাকাঙ্ক্ষিত এ প্লাবনের জন্য স্থানীয়রা দায়ী করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডকে। ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আলিম মুহুরী কহুয়া নদীর বাঁধ ভাঙার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে বলেন, এ নদীগুলি সংস্কার করার জন্য বারবার বলা সত্ত্বেও তারা আমলে নেয়নি। দায়সারাভাবে করেছে বাঁধগুলো।
 
বাঁধ ভেঙে ঢুকছে পানি/ছবি: বাংলানিউজএদিকে খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন ফেনী জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায়, ডিডি এলজি আবু দাউদ মো. গোলাম মোস্তফা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবময় দেওয়ান, ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার কিসিঞ্জার চাকমা জানান, প্রশাসনের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ইতোমধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ভাণ্ডার থেকে ২০ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

ফুলগাজী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, প্লাবনে নিমজ্জিত রয়েছে প্রায় ৫০ হেক্টর রোপা আমনের বীজতলা। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পুরোটাই নষ্ট হতে পারে।

কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বানের পানিতে ভেসে গেছে প্রায় ৮শ পুকুরের মাছ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৭
এসএইচডি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad