উপজেলার চর কাদিরা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আকরাম হোসেন সায়েদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেছেন রিয়াজ নিজেই। শুক্রবার (২১ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে ফজুমিয়ার হাট বাজারে তাকে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
রিয়াজ চর কাদিরা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তোফায়েলের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় মেম্বার সায়েদের কাছে ২২শ’ টাকা পান রিয়াজ। এ টাকা চাওয়ায় চুরির অপবাদ দিয়ে মেম্বারের ভাই জাবেদসহ কয়েকজন রিয়াজের হাত-পা বেঁধে বেধড়ক লাঠিপেটা ও নির্যাতন করেন।
আহত রিয়াজ বাংলানিউজকে বলেন, দুপুরে স্থানীয় ইউনিয়নের পরিষদ কার্যালয়ের পাশে মনির মাঝির দোকানে বসেছিলাম। এসময় সায়েদ মেম্বারের ভাই জাবেদ ও রাশেদ আমাকে জোর করে তুলে নিয়ে ফজুমিয়ার হাট বাজারের মা গার্মেন্টেসের ভেতরে নিয়ে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক লাঠিপেটা করে। পরে সায়েদ মেম্বারও এসে আমাকে চড়, থাপ্পড় ও লাটিপেটা করে।
তবে রিয়াজের অভিযোগ নাকচ করে মা গার্মেন্টেসের মালিক ইসমাইল বাংলানিউজের কাছে দাবি করেন, রিয়াজ জুমার নামাজের পর আমার দোকানে চুরি করতে আসলে তাকে ধাওয়া করি। পরে জাবেদ তাকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের কাছ থেকে ধরে নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে ইউপি মেম্বার আকরাম হোসেন সায়েদ বাংলানিউজের কাছে দাবি করেন, ফজুমিয়ার হাট বাজারে মা গামের্ন্টেসে চুরি করার সময় রিয়াজকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে। তাকে মারধরের বিষয়টি সঠিক নয়। সে আমার কাছে কোনো টাকাও পায় না।
কমলনগর থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) মো. ছায়েদের রহমান বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে রিয়াজকে উদ্ধার করে কমলনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৭
আরআইএস