গত বছর আষাঢ় মাসের প্রথম সপ্তাহে জোয়ারের চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিষখালী নদীপাড়ের জীনতলার প্রায় ছয় হাজার পরিবার। জোয়ারের চাপে বেড়িবাঁধ ভাঙার পর ঘরবাড়ি হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্তরা এখনো বসবাস করছেন ভাঙা বেড়িবাঁধের ওপর।
পুনর্বাসন করার আশ্বাস দিলেও এক বছর পার হলেও এখানো পুনর্বাসন করা হয়নি তাদের।
এদিকে নতুন বেড়িবাঁধ নির্মাণ হলেও ঘর হারানোর পর নদীর অনবরত ভাঙনে জমি হারাচ্ছেন অনেকে।
জানা গেছে, সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত জীনতলার এ বেড়িবাঁধটি গত বছর বর্ষায় ভেঙে প্লাবিত হয় গ্রামের পর গ্রাম। তারপর থেকে নদীর অনবরত ভাঙনে ভিটে ছাড়া হয় প্রায় শতাধিক পরিবার। সেই সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত এ পরিবারগুলো জীবন বাচাঁনোর তাগিদে অবস্থান নেয় এ বেড়িবাঁধের উপর।
সেময় বরগুনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সামান্য খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা ও আশ্বাস দেয় ক্ষতিগ্রস্তদের অতি শিগগিরই পুনর্বাসন করা হবে। চিড়া, মুড়ি, মোমের সঙ্গে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুধু আশ্বাসই পেয়েছেন তারা। সেই আশ্বাসের বাস্তবায়ন হয়নি এক বছর পরেও।
জীনতলা বাঁধের উপরে বসবাসরত ছয়জুদ্দিন, আবু বকর, সিদ্দিক মিয়া অভিযোগ করে বাংলানিউজকে বলেন, নাম মাত্র এ বেড়িবাঁধটির সংস্কার করা হয়েছে। জোয়ারের পানিতে ঘরবাড়িসহ বাপ দাদার ভিটেও হারাইছি। এবার যদি বন্যা হয় আমাদের পানিতে ডুবে মরতে হবে। সরকারের সহায়তায় বেড়িবাঁধটি ভালোভাবে নির্মাণ করা হলে পরিবার পরিজন নিয়ে নির্ভয়ে বসবাস করতে পারতাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, ২১ জুলাই, ২০১৭
আরএ