ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জীনতলা বেড়িবাঁধে ভাঙন, হুমকির মুখে ৬ হাজার পরিবার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২২ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৭
জীনতলা বেড়িবাঁধে ভাঙন, হুমকির মুখে ৬ হাজার পরিবার ছবি-বাংলানিউজটোয়েটিফোর.কম

বরগুনা: অঝোর বৃষ্টি, সাগরে জোয়ারের পানি আর বেড়িবাঁধের ভাঙনের সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়াই করে বেঁচে আছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার জীনতলা বেড়িবাঁধের পাশে বসবাসরত প্রায় ছয় হাজার বাসিন্দা। নির্ঘুম রাত কাটাছে তারা।

গত বছর আষাঢ় মাসের প্রথম সপ্তাহে জোয়ারের চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিষখালী নদীপাড়ের জীনতলার প্রায় ছয় হাজার পরিবার। জোয়ারের চাপে বেড়িবাঁধ ভাঙার পর ঘরবাড়ি হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্তরা এখনো বসবাস করছেন ভাঙা বেড়িবাঁধের ওপর।

সরকারিভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের

ছবি-বাংলানিউজটোয়েটিফোর.কমপুনর্বাসন করার আশ্বাস দিলেও এক বছর পার হলেও এখানো  পুনর্বাসন করা হয়নি তাদের।

এদিকে নতুন বেড়িবাঁধ নির্মাণ হলেও ঘর হারানোর পর নদীর অনবরত ভাঙনে জমি হারাচ্ছেন অনেকে।

জানা গেছে, সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত জীনতলার এ বেড়িবাঁধটি গত বছর বর্ষায় ভেঙে প্লাবিত হয় গ্রামের পর গ্রাম। তারপর থেকে নদীর অনবরত ভাঙনে ভিটে ছাড়া হয় প্রায় শতাধিক পরিবার। সেই সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত এ পরিবারগুলো জীবন বাচাঁনোর তাগিদে অবস্থান নেয় এ বেড়িবাঁধের উপর।

ছবি-বাংলানিউজটোয়েটিফোর.কমসেময় বরগুনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সামান্য খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা ও আশ্বাস দেয় ক্ষতিগ্রস্তদের অতি শিগগিরই পুনর্বাসন করা হবে। চিড়া, মুড়ি, মোমের সঙ্গে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুধু আশ্বাসই পেয়েছেন তারা। সেই আশ্বাসের বাস্তবায়ন হয়নি এক বছর পরেও।

জীনতলা বাঁধের উপরে বসবাসরত ছয়জুদ্দিন, আবু বকর, সিদ্দিক মিয়া অভিযোগ করে বাংলানিউজকে বলেন, নাম মাত্র এ বেড়িবাঁধটির সংস্কার করা হয়েছে। জোয়ারের পানিতে ঘরবাড়িসহ বাপ দাদার ভিটেও হারাইছি। এবার যদি বন্যা হয় আমাদের পানিতে ডুবে মরতে হবে। সরকারের সহায়তায় বেড়িবাঁধটি ভালোভাবে নির্মাণ করা হলে পরিবার পরিজন নিয়ে নির্ভয়ে বসবাস করতে পারতাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, ২১ জুলাই, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।