ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শ্লীলতাহানি!অভিযুক্ত আইনজীবীকে গ্রেফতারের চেষ্টায় পুলিশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
শ্লীলতাহানি!অভিযুক্ত আইনজীবীকে গ্রেফতারের চেষ্টায় পুলিশ মামলার প্রতীকী লোগো

ঢাকা: রাজধানীর পল্টনের বিজয়ন গরের সারাকা ম্যাক কোচিং সেন্টারে নারী শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে সুপ্রিমকোটের আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ আজাদকে(৪৮) গ্রেফতার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

বুধবার (১৯ জুলাই) রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর হক বাংলানিউজকে বলেন, শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা নম্বর ২৪। এবিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। পাশাপশি আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এর আগে, গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় ওই কোটিং সেন্টারে বার কাউন্সিলের অ্যাডভোকেটশিপের শিক্ষার্থীদের বিদায়ী অনুষ্ঠান শেষে কোচিংয়ের নিজ চেম্বারে ওই শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন শিক্ষক সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আজাদ।

ভুক্তোভোগী শিক্ষার্থী জানান, ‘ওই ঘটনায় আমি নিজেকে কোনোভাবে রক্ষা করে চেম্বার থেকে বের হয়ে যাই। এই ঘটনার পরদিন সকাল ১১টার দিকে অ্যাডভোকেট শেখ মোঃ আজাদ মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে এই বিষয়ে দু:খ প্রকাশ করেন। ’

‘তার এই ধরনের আচরণ অপ্রত্যাশিত। ভবিষ্যতে তিনি যেন এমন আচরণ আর কারও সঙ্গে না করতে পারেন, সেজন্য আমি আইনের সহায়তা নিয়েছি। আমি চাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার কঠোর শাস্তি হোক। ’
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, এলএলবি পাশের পর বার কাউন্সিলের অ্যাডভোকেটশিপ পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য ৭ মাস আগে পল্টন থানাধীন বিজয়নগরস্থ সারাকা ম্যাক, ৩/১, ৩/২(২য় তলায়) কোচিং সেন্টারে ভর্তি হন। গত ১৮ জুলাই ছিল কোচিং এর বিদায়ী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে সবাই গ্রুপ ছবি তোলেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিদায় নিতে গেলে বসতে বলেন অ্যাডভোকেট শেখ মোঃ আজাদ। পাশের ক্লাশ রুমে বসেন ওই ছাত্রী। এরপর তিনি অন্য শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন। দেরির বিষয়টি জানিয়ে বের হতে গেলে তিনি ধমকের সুরে ওই শিক্ষার্থীকে আবারো বসতে বলেন।
ফিরে এসে অ্যাডভোকেট শেখ মোঃ আজাদ বলেন, ‘তোমার পরীক্ষার হল কোথায় তা কি তুমি চেনো?
‘আমি না চিনলেও আমার স্বামী চেনেন’ বলে জানান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
এরপর আসামী অ্যাডভোকেট শেখ মোঃ আজাদ বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধি’র ৪৪২ ধারার সংশোধনী নেই আমার বইতে। তুমি নতুন বইটি সেলফ থেকে নিয়ে আসো। ব্ইটি এনে দিলে তিনি নিজ হাতে সংশোধনী ধারাটি লিখেন। ’
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আসামি তার চেম্বার থেকে বের হয়ে যান। বাদিনী চেম্বার থেকে বের হওয়ার সময় আসামি পুনরায় চেম্বারে প্রবেশ করে তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। তার কবল থেকে নিজেকে রক্ষা করতে গেলে পাশে থাকা চেয়ারের উপর পড়ে যান। তখন দ্রুত চেম্বারর দরজা খুলে তিনি কোনোমতে বের হয়ে চলে আসেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩২ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
এসজেএ/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।