যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আজমল হুদা বাংলানিউজকে বলেন, আজিজুল ইসলাম সবুজ আত্মসমর্পণ করেছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এর আগে দুপুরে ‘আত্মহত্যা করেছে’ বলে স্ত্রী মরিয়ম বেগম পারুলের মরদেহ যশোর ২৫০-শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যান আজিজুল ইসলাম সবুজ।
আজিজুল সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার সরুলিয়া গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে। যশোর সিআইডি পুলিশে কর্মরত থাকলেও সম্প্রতি তিনি ঢাকায় বদলি হয়েছেন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন যশোরে চাকুরির সুবাদে শহরতলীর রঘুরামপুরে জমি কিনে বসবাস করতেন সবুজ। প্রায় এক যুগ আগে যশোর সদর উপজেলার চৌঘাটা গ্রামের মরিয়ম বেগম পারুলকে বিয়ে করেন সবুজ।
পারুলের মামা মাসুদুর রহমান বাংলানিউজকের কাছে দাবি করেন, পারুলের স্বামী আজিজুল ইসলাম সবুজ ছিলেন মাদকাসক্ত। পারুলের বাবা কিছু দিন আগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ১৮ লাখ টাকা দিয়ে পারুলের নামে একটি জমি কিনে দিয়েছেন। ওই জমি সবুজ নিজের নামে লিখে দিতে পারুলকে চাপ দিতেন। পারুল তাতে রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। এছাড়া সবুজ প্রতিনিয়ত অন্য মেয়েদের সাথে মোবাইলের কথা বলতেন। এ নিয়েও তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। মাসুদুর রহমান আরও বলেন, একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে শ্বাসরোধে পারুলকে হত্যা চেষ্টা করেন আজিজুল। পরে তাকে প্রাইভেটকার যোগে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তখন মরদেহ হাসপাতালে ফেলে রেখে ছেলেকে নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যান আজিজুল।
পারুলের বাবা সবুজের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করলে পুলিশ তাকে খুঁজতে শুরু করে। রাতরে দশটার দিকে সবুজ থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
বাংলাদেশ সময়:...ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৭
এসই/জেএম