তালতলী প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ১৬ হাজার ৪শ’ ৬৬ জন অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য জনপ্রতি বিশেষ ভিজিএফ’র ১৩.২৭ কেজি গম হিসাবে ২১৮.৫০৩ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে পচাঁকোড়ালিয়া ইউনিয়নে ২ হাজার ১ শ ৫১ জনের জন্য ২৮.৫৪৩ মেট্রিক টন, ছোটবগী ইউনিয়নে ২ হাজার ৪শ’ ৭১ জনের জন্য ৩২.৭৯০ মেট্রিক টন, কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নে ২ হাজার ৪শ’ ১৭ জনের জন্য ৩২.০৭৩ মেট্রিক টন, শারিকখালী ইউনিয়নে ১ হাজার ৪শ’ ৬০ জনের জন্য ১৯.৩৭৪ মেট্রিক টন, বড়বগী ইউনিয়নে ৩ হাজার ৪শ’ ৪০ জনের জন্য ৪৫. ৬৪৮ মেট্রিক টন, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে ২ হাজার ৪শ’ ২০ জনের জন্য ৩১.১১৩ মেট্রিক টন, সোনাকাটা ইউনিয়নে ২ হাজার ১শ’ ৭ জনের জন্য ২৭.৯৬৯ মেট্রিক টন, গম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে বিভিন্ন ইউনিয়নে গম বিতরণ করা হয়েছে। বিতরণকালে জনপ্রতি বরাদ্দকৃত গম ওজনে ৫ কেজি কম দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ১৩.২৭ কেজির গমের পরিবর্তে জনপ্রতি দেয়া হচ্ছে মাত্র ৮ কেজি। এছাড়া প্রকৃত দুস্থরা গম পাচ্ছেন না।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই)দুপুরে কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের কড়াইবাড়িয়া বাজারে ২ হাজার ৪শ’ ১৭ জন দুস্থর মাঝে বালতি দিয়ে গম বিতরণ করা হয়েছে। ওই বালতির গম স্থানীয় দোকানে পরিমাপ করে দেখা গেছে ওজন ৮ কেজি।
ওই ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের হেলেঞ্চাবাড়িয়া গ্রামের সজল খান, গেন্ডামারা গ্রামের ইদ্রিস ও জাকির মিয়া বাংলানিউজকে জানান, বালতি দিয়ে গম বিতরণ করা হয়েছে। ওই বালতির গম ওজন করে দেখেছি ৮ কেজি হয়েছে।
২নম্বর ওয়ার্ডের মোসলেম হাওলাদার, ইউসুফ শিকদার ও সানু হাওলাদার জানান, ১৩.২৭ কেজির তালিকায় টিপ নিলেও পেয়েছি সোয়া ৮ কেজি।
হেলেঞ্চাবাড়িয়া গ্রামের মোসা. কলি আক্তার, বিধবা নুরজাহান, দুলাল খান, আল আমিন ও আবু বকর জানান, প্রকৃত দুস্থ হওয়া সত্ত্বেও ইউপি সদস্য তালিকায় তাদের নাম অর্ন্তভূক্ত করা হয়নি।
কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন আকন বাংলানিউজকে মুঠোফোনে জানান, গম বিতরণের জায়গায় আমি নেই, সকল ইউপি সদস্যরা উপস্থিত রয়েছে।
তবে গম কম দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে কোন উত্তর না দিয়ে ফোনসংযোগ কেটে দেন।
এদিকে (১৯ জুলাই) বুধবার দুপুরে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌছিফ আহম্মেদ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তালতলী শহরের মুক্তিযোদ্ধা সড়কের কেশব বাবুর দোকান থেকে বড় বগী ইউনিয়নের ৬ বস্তা (৩৬০কেজি) গম জব্দ করেছেন। পরে এ গম তালতলী থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত ইউএনও) মো. তৌছিফ আহম্মেদ বাংলানিউজকে জানান, ৬ বস্তা গম উদ্ধারের ঘটনায় কেশব বাবুর দোকানের কর্মচারী হিরনকে আসামি করে তালতলী থানায় মামলা করেছি।
তিনি আরো বলেন, গম বিতরণে অনিয়ম পেলে সাথে সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়:০০৫৮ ঘণ্টা,জুলাই ২১,২০১৭
জেএম