ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

উত্তরে উন্নতি, এবার মধ্যাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
উত্তরে উন্নতি, এবার মধ্যাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা পানি কমছে উত্তরে

ঢাকা: পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে দেশের উত্তরাঞ্চল এবং সিলেট এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে। ওই এলাকার পাঁচ নদ-নদীর পানি হ্রাস পেতে শুরু করেছে। তবে পদ্মা ও মেঘনায় এসে এই পানির উচ্চতা বেড়ে দেশের মধ্য ও নিম্নাঞ্চলে বন্যা ও ভাঙ্গনের সৃষ্টি করতে পারে। চলমান বর্ষা মৌসুমে অবিরাম বৃষ্টি বন্যা ও নদী ভাঙ্গনের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ব্রক্ষ্মপুত্র, যমুনা, পদ্মা, সুরমা, কুশিয়ারার পানির উচ্চতা হ্রাস পাচ্ছে। ব্রক্ষ্মপুত্র- যমুনা নদ-নদীর পানির উচ্চতা হ্রাস ৭২ ঘণ্টা, গঙ্গানদীর পানি ৪৮ ঘণ্টা, পদ্মা নদীর পানি ৭২ ঘণ্টা এবং সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি হ্রাস ২৪ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে।


বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানান, দেশের ৯০টি পর্যবেক্ষণ পানি সমতল স্টেশনের মধ্যে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পাঁচটিতে। বৃদ্ধি পেয়েছে ২৭ কেন্দ্রে এবং হ্রাস পেয়েছে ৫৭টির।  

এলাসিন স্টেশনে ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার ১১ সে.মি. উপরে প্রবাহিত হচ্ছে এবং ২৪ ঘণ্টায় হ্রাস পেয়েছে ১৩ সে.মি.। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট কেন্দ্রে বিপদসীমার ২ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও কমেছে ২৪ সে.মি.। কুশিয়ারা নদীর পানি অমলশীদ কেন্দ্রে বিপদসীমার ১৯ সে.মি, শেওলা কেন্দ্রে ৪০ সে.মি.ও শেরপুর-সিলেটে ৫ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অমলশীদ কেন্দ্রে ১৬ সে.মি. ও শেওলায় কমেছে ৮ সে.মি.।
আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুছ জানিয়েছেন, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, রংপুর ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

 ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধ্বসের আশঙ্কা রয়েছে।
অধিদফতরের একজন আবহাওয়াবিদ বাংলানিউজকে জানান, আগামী দুই দিনে আবহাওয়ার বিদ্যমান অবস্থার উন্নতি হয়ে এলেও ২২ জুলাইয়ের পর বৃষ্টি আবারও বাড়বে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, উত্তরে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এই পানি এসে দেশের মধ্যাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে বন্যা ও নদী ভাঙ্গন সৃষ্টি করতে পারে।

বিশেষ করে মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর ও ভোলা এলাকায় মেঘনা-পদ্মা নদীর পানি বেড়ে ভাঙ্গন দেখা দিতে পারে বলে জানান মন্ত্রী।

এজন্য সরকারের যাবতীয় প্রস্তুতি রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী এসব এলাকার জেলা প্রশাসকদের অতি দ্রুত জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করে বন্যার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়:০০৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ২০,২০১৭
এমআইএইচ/ জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ