রাষ্ট্রপতি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির (আইসিটি) যুগে আকাশ সংস্কৃতি এখন বাস্তবতা...। কিন্তু জনগণ ও সংস্কৃতি কর্মীদের ভালো জিনিস গ্রহণ এবং যা মন্দ ও দেশের জন্য ক্ষতিকর, তা বর্জন করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষ করে সংস্কৃতি কর্মীদের আকাশ সংস্কৃতির মাধ্যমে দেশের সুদীর্ঘ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও লোকগাঁথা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, সৃজনশীল বাংলাদেশ নির্মাণ ও দেশের লোকসাহিত্য ও ঐতিহ্য বিকাশে শিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।
‘সংস্কৃতি হচ্ছে জীবনের দর্পণ... শিল্প ও সংস্কৃতি হচ্ছে একটি দেশ ও জাতির প্রতিবিম্ব’ এ কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে শিল্প ও সংস্কৃতি চর্চার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, শিল্প ও সংস্কৃতি যুব সমাজের মধ্যে শৃংখলা, জাতীয়তাবোধ, দেশপ্রেমের চেতনা বিকাশসহ সাংস্কৃতির ঐতিহ্যের চেতনা জাগিয়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অনুষ্ঠানে সাতজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের মাঝে শিল্পকলা পদক-২০১৬ বিতরণ করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- পবিত্র মোহন দে (যন্ত্রসঙ্গীত), মো. গোলাম মোস্তফা খান (নৃত্যকলা), গোলাম মুস্তাফা (ফটোগ্রাফি), কালিদাস কর্মকার (চারুকলা), সিরাজ উদ্দিন খান পাঠান (লোক সংস্কৃতি), সৈয়দ জামিল আহমেদ (নাট্যকলা) ও মিতা হক (কণ্ঠশিল্পী)।
অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব মো. ইব্রাহীম হোসেন খান ও শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
এমএ/