বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) আলোচিত এ মামলার যুক্তি-তর্ক সম্পন্ন হল পরবর্তী কার্যদিবস নির্ধারণ করেন সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান।
আদালতের পিপি অ্যাডেভোকেট কিশোর কুমার কর বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, মামলার ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে যুক্তি-তর্ক সম্পন্ন হয়েছে।
নিহত ইসমাইল সুন্দ্রাটিকি মাদরাসায় এবং অন্য তিন শিশু সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়তো।
নিখোঁজের পাঁচদিন পর স্থানীয় ইছাবিল থেকে বালিচাপা দেওয়া অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হলে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ঘটনার পর চারজনকে আটক করে পুলিশ। পরে বাহুবল থানায় এই চারজনসহ মোট নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহত শিশু মনিরের বাবা আবদাল মিয়া।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তৎকালীন পরিদর্শক (ওসি) মোক্তাদির হোসেন ২০১৬ সালের ২৯ এপ্রিল নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এ মামলায় গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান আব্দুল আলী বাগাল ও তার দুই ছেলেসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদের মধ্যে আসামি বাচ্চু মিয়া র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান।
বর্তমানে এ মামলায় কারাগারে আছেন আব্দুল আলী বাগাল (৬০), তার দুই ছেলে জুয়েল মিয়া ও রুবেল মিয়া (১৮), হাবিবুর রহমান আরজু (৪০), শাহেদ আহমদ (৩২) ।
এছাড়া উস্তার মিয়া (৪৮), বাবুল মিয়া (৪৫) ও বিল্লাল মিয়া (৩৫) এখনও পলাতক রয়েছেন। গ্রেফতার পাঁচজনের মধ্যে চারজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে চলতি বছরের ৭ সেপ্টেম্বর মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। গত ১৫ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে মামলাটি সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
এনইউ/এএ