বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকালে নাটোরে টানা দুই ঘণ্টা মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়। এতে শহরের আলাইপুর, কানাইখালী, কান্দিভিটুয়া, চকরামপুর, হাফরাস্তা, দক্ষিণ বড়গাছা, বনবেলঘরিয়া, হরিশপুর, চৌধুরী বড়গাছা, তেবাড়িয়া ও ছাতনী এলাকার বাসাবাড়ি, ব্যবসায় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চত্বরে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা চকরামপুরে টেলিফোন একচেঞ্জ অফিস চত্বরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন রাস্তা, পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনের রাস্তা, নাটোর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে শহরের হাফরাস্তা এলাকার বাসিন্দা হাসনা বেগম বাংলানিউজকে জানান, টানা বর্ষণের পর গত তিন দিনে বৃষ্টির পানি কিছুটা কমেছিল। সকালে বৃষ্টির ফলে আবার আগের মতই বাড়িঘরসহ আশপাশের এলাকা জলাবদ্ধাতার সৃষ্টি হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, জেলায় গড় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে আট মিলিমিটার। বুধবার (১৯ জুলাই) ছিল তিন মিলিমিটার। এই বৃষ্টিপাতে সবজি ও ফসলের কিছুটা ক্ষতি হলেও পাট বা অন্যান্য ফসলের উপকার হবে।
নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার বাংলানিউজকে জানান, বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যার পানি বৃদ্ধি পেলেও নাটোরে এখনও ক্ষতি হওয়ার মত বন্যা হয়নি। তবে বিলে ও নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭ৎ
এনটি