এরপরও বসে নেই বানভাসি মৎস্যচাষিরা। জলাশয় রক্ষায় বিশাল বিশাল ঘের তৈরি করেছেন তারা।
তবে বন্যায় জেলার মৎস্য সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়ার ব্যাপারে অসহযোগিতা করেন বগুড়া জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রওশনারা বেগম। তিনি জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের অজুহাত তুলে এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে অস্বীকার করেন।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকেলে এই কর্মকর্তার কাছে বন্যায় মৎস্য সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ নিয়ে আমি ব্যস্ত রয়েছি। তাই এ সংক্রান্ত কোন তথ্য দিতে পারবো না। তথ্য পেতে চাইলে সাত দিন পর পাবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার নিজবলাইল, হাসনাপাড়া, অন্তারপাড়া, পারতিতপরল, উত্তর হিন্দুকান্দি, দিঘলকান্দি, পাইকপাড়া, নবাদরী, ধনতলা, দেবডাঙ্গা, পারদেবডাঙা, ধলিরকান্দি, বয়রাকান্দি ঘুঘুমারী, শেখপাড়া, দড়িপাড়া, ইছামারা, রহদহদহসহ বিভিন্ন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষিরা ঘের তৈরি করে মাছচাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এসব এলাকায় যমুনার তীরবর্তী জায়গাগুলোতে জাল দিয়ে ঘিরে বিশাল বিশাল ঘের তৈরি করা হয়েছে। এসব ঘেরের মধ্যে রুই, কাতল, সিলভার ও গ্রাস কার্প, বিগহেডসহ নানা প্রজাতির মাছচাষ করছেন মৎস্যচাষিরা।
চাঁন মিয়া তরফদার, গোকুল হোসেন, জালালী, মোসলেমসহ একাধিক ক্ষতিগ্রস্ত মাছচাষি বাংলানিউজকে জানান, বছরের পর বছর ধরে যমুনা তাণ্ডব চালিয়েই যাচ্ছে। এবার ভাসিয়ে নিয়েছে মাছভর্তি ছোট-বড় অসংখ্য জলাশয়। চোখের সামনেই এসব ঘটনা ঘটছে।
বাদশা আকন্দ, নুরুল ইসলাম, রুবেল বাংলানিউজকে জানান, যমুনার পানি বাড়তে শুরু করা মাত্র মাঠে নামেন তারা। মাছভর্তি জলাশয়গুলোর চারপাশে অনেক জায়গা ঘিরে বড় বড় ঘের তৈরি করে চাষের মাছগুলো রক্ষার চেষ্টা করেন তারা।
এরপরও কোন লাভ হয়নি। পানির তোড়ে জলাশয় ভেসে গেছে। সঙ্গে বেরিয়ে গেছে চাষকৃত মাছগুলো। তবু কিছু পাবার আশায় এখনো ঘের বানিয়ে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
এমবিএইচ/আরআই