এসময় তাঁরা দ্বি-পাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা নারীর ক্ষমতায়ন,বাণিজ্যিক সম্পর্ক, জেন্ডার সমতা প্রভৃতি বিষয়ে নিজ নিজ দেশে গৃহীত কার্যক্রম ও সংসদীয় রীতি-নীতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, ভিয়েতনাম বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। স্বাধীনতার পর স্বল্প সময়ে ভিয়েতনাম দ্রুত উন্নতি সাধন করেছে।
তিনি বলেন, দু’দেশের জনপ্রতিনিধিরা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকারের গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ প্রায় ৭ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, সমাজের দু:স্থ মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করছে। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার মতো বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়নের অভিষ্ট অর্জনেও এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
গুয়েন থি কিম গ্যান বলেন, ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের প্রেক্ষাপট একই এবং দু’দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রেক্ষিতগুলোও প্রায় একই।
তিনি বলেন, পারস্পরিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দু’দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
ভিয়েতনাম ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি প্রেসিডেন্ট বলেন, দু’দেশের সংসদের প্রতিনিধি দলের সফর বিনিময়ের মাধ্যমে বর্তমান সম্পর্ক আরও জোরদার করা সম্ভব। এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারেও দু’দেশের কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ১৩৬তম ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) এসেম্বলির সফল আয়োজন বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে।
আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) ৬৩তম সম্মেলনও সফল হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় সংসদ সদস্য ইমরান আহমেদ,পংকজ নাথ, এ.এম নাঈমুর রহমান ও বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ আবদুর রব হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
এসএম/জেডএম/