এছাড়া ভাঙন হুমকিতে রয়েছে- চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের গোয়লডুবি, চাকপাড়া, মালবাগডাঙ্গা, ফাটাপড়া, সোনাপট্টি, কাইড়াপাড়া ও রোড পাড়া গ্রাম। ওই ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা হুমকির মধ্যে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, গত তিন বছরে রোডপাড়া গ্রামের প্রায় ৯০টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ওই গ্রামের সাতটি বাড়ি ছিল তাও গত এক সপ্তাহে ভাঙনের নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
রোডপাড়া গ্রামের সেরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, গত দুই সপ্তাহে সাতটি বাড়ি নদীতে নেমে যাওয়ায় তারা এখন ফাটাপাড়া গ্রামে অন্যের জায়গায় ঘর তুলে বসবাস করছেন। নিজেদের বাড়িঘর ও জমি হারিয়ে তার এখন নিঃস্ব।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ শাহিদুল আলম বাংলানিউজকে জানান, ২০১৫ সাল থেকে বিশেষ করে গত দুই বছরে পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙনে প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি, আম বাগানসহ অন্যান্য গাছপালা, কৃষি জমি বিলীন হয়েছে পদ্মায়। প্রায় ৫০০ মিটার ভেতরে ঢুকে পড়েছে নদী। দুই কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর তীর সংরক্ষণের জন্য ১০৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। আশাকরি এ অর্থ বছরেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
এনটি