বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সাউথ এশিয়ান ফ্রি মিডিয়া অ্যাসোসসিয়েশন (সাফমা) আয়োজিত ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতা: আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারা’ বিষয়ক একটি গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ কথা জানান।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জাহিদুজ্জামান ফারুকের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি রাশিদা আমিন, একুশে টিভির সিইও মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, নিউজ টুডের সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমদ, দৈনিক সংবাদের সম্পাদক খন্দকার মুনিরুজ্জামান, যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, ডিআরইউ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশাহসহ অন্য সাংবাদিক নেতারা।
মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ৫৭ ধারার সবচেয়ে বেশি শিকার হচ্ছে সাংবাদিকরা। এ পর্যন্ত সারাদেশে ৫৭ ধারায় ৫০টিরও বেশি মামলা হয়েছে সাংবাদিকদের উপর। ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে। আমরা চাই ৫৭ ধারায় মামলা হওয়ার আগে অভিযোগটি প্রেস কাউন্সিলে তদন্ত করুক। তাতে যদি কোনো সাংবাদিক দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হোক। শুধু একটি অভিযোগের ভিত্তিতে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার ও অজামিনযোগ্য ধারায় মামলা কোনোভাবে মেনে নিতে পারি না।
এসময় তিনি ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের নামে ৫৭ ধারাকে আবার ফিরিয়ে না আনার দাবি জানান।
নিউজ টুডের সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমদ বলেন, এটি নতুন আইন না। আগেও ছিল। কিন্তু সাংঘর্ষিক ছিল না। পাকিস্তান সরকারও প্রিন্টিং প্রেসেস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স আইন করেছিল সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করার জন্য। আমরা আন্দোলন করে বন্ধ করেছিলাম।
এসময় বক্তারা আইনমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেন, তিনি কিছুদিন আগে বলেছেন ৫৭ ধারা বাতিল করা হবে। কিন্তু এখন বলছেন আগস্ট মাসের মাঝামাঝি এ আইনের ভাগ্য জানা যাবে। একজন মন্ত্রীর এমন আচরণ আমাদের মর্মাহত করেছে। যখন মাঠে নেমেছি, তখন ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে ৫৭ ধারা বাতিল করবোই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
এমএএম/এএ