এই মহাসড়কে বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকাল থেকেই থেমে থেমে যানজট দেখা দিচ্ছিলো। দুপুরের পর থেকে যানজটের তীব্রতা বেড়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম-হাটিকুমরুল মহাসড়ক ছাড়াও হাটিকুমরুল গোলচত্বর-পাবনা, বগুড়া ও রাজশাহী সড়কে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাটিকুমরুল গোলত্বর থেকে রাজশাহী মহাসড়কের নেংড়ী বাজার, একই এলাকা থেকে বগুড়া রোডের সাহেবগঞ্জ বাজার ও পাবনা রোডের বোয়ালিয়া বাজার পর্যন্ত যানজট সৃষ্ট হয়েছে। এসব রুটে গত কয়েকদিন ধরে যানজট লেগে থাকলেও বৃহস্পতিবার আরো বেড়েছে।
ঢাকা থেকে পাবনাগামী ট্রাকচালক আলী হোসেন, এসএ পরিবহনের হেলপার ইমন, সরকার পরিবহনের চালক শামছুল ও আহমেদ পার্সেল কুরিয়ার সার্ভিস গাড়ির চালক সদরুল জানান, বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত মাত্র ১৯ কিলোমিটার পৌঁছুতে ৩ থেকে ৫ ঘণ্টা করে সময় লাগছে। গাড়িগুলো দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে আছে। মাঝে মধ্যে কচ্ছপের গতিতে চলছে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সাধারণত মহাসড়কে গাড়িগুলোর গতি থাকে সর্বনিম্ন ৫০ কিলোমিটার। কিন্তু খানা-খন্দকের কারণে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় যানবাহনগুলো এসে ৫ কিলোমিটারের উপর গতি তুলতে পারছে না। একই অবস্থা নলকা সেতুর উপরও। এসব কারণে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ওসি তদন্ত রফিকুল ইসলাম মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, হাটিকুমরুল গোলচত্বর ও নলকা সেতুর উপর রাস্তার চরম দুরাবস্থার কারণেই গত কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে যানজট হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যানবাহনগুলো দীর্ঘ লাইনে ধীরগতিতে চলাচল করলেও দুপুরের পর থেকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, এছাড়াও রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে গাড়িগুলো মাঝে মধ্যেই বিকল হয়ে পড়ছে। ফলে এ মহাসড়কে গাড়ির গতি বাড়ছেই না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
জেডএম/