ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

১৫ বছরেও নির্বাচন হয়নি দেবিদ্বার পৌরসভার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
১৫ বছরেও নির্বাচন হয়নি দেবিদ্বার পৌরসভার পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে নবনির্মিত পৌর ভবনটি- ছবি: বাংলানিউজ

কুমিল্লা: সীমানাজনিত সমস্যা ও মামলা জটিলতায় প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর পরও হচ্ছে না কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার পৌরসভায় নির্বাচন।

নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকায় অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন পৌরবাসী। এর ফলে সাধারণ জনগণের মাঝেও ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে।

এ সরকারের মেয়াদে নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়েও রয়েছে যথেষ্ট সন্দেহ।

পৌর কর্তৃপক্ষ কিংবা উপজেলা নির্বাচন অফিসও এ বিষয়ে নিশ্চিত কিছু বলতে পারছেনা।

জানা যায়, ২০০২ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে ১ কোটি ৫ লাখ টাকা ব্যায়ে গুনাইঘর এলাকায় দেবিদ্বার পৌর ভবন নির্মিত হয়। ২০০২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর দেবিদ্বার পৌরসভার গ্যাজেট বিজ্ঞপ্তির প্রকাশের পর উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন নিয়ে একই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বরে পৌরসভার কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু শুরুতে পৌরসভার সীমানা জটিলতায় নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পৌরসভার সীমানা বৃদ্ধি করতে গিয়ে গোমতী নদী অতিক্রমসহ কৃষিনির্ভর ও অনুন্নত অনেক এলাকা অর্ন্তভুক্ত করা হয়। পরে ওই নকশার আংশিক পরিবর্তন করে ২০০৫ সালের ১৮ জানুয়ারি ওয়ার্ড বিভক্তি চূড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

কিন্তু ২০০৭ সালে বড় আলমপুর, ভিংলাবাড়ি, ফতেহাবাদ ও মরিচাকান্দা এ চারটি গ্রাম পৌরসভার অন্তর্ভূক্ত না করতে সুপ্রিমকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন স্থানীয় আবদুল মতিন। এরপর ২০০৯ সালের ১৭ মে পৌরসভা বাতিলের দাবিতে হাইকোর্টে আরেকটি মামলা দায়ের করেন স্থানীয় আছাদুজ্জামান পাঠান। এই দুটি মামলা এখনোও বিচারাধীন রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায়, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও কয়েকজন ব্যক্তির নিজস্ব স্বার্থ হাসিলের জন্যই মামলাগুলো এখনোও চলছে। কেউ মামলাগুলো নিষ্পত্তির ব্যবস্থাও করে না। ফলে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে পৌর নির্বাচন।

কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনের সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল মুন্সী বলেন, পৌর এলাকার  উন্নয়নের জন্য নির্বাচন অতিব জরুরি। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়া উন্নয়ন হয় না। নির্বাচনের লক্ষ্যে ও পৌরবাসীর নাগরিক সুবিধা ভোগ করার জন্য মামলার বাদিদের মামলা তুলে নেওয়া উচিত।

দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, চলমান মামলা দু’টি নিষ্পত্তি হলে পৌরসভার নির্বাচন হতে আর কোনো বাধা থাকবে
না।

উল্লেখ্য যে, দেবিদ্বার পৌরসভার আয়তন ২৩৯.১৪ বর্গ কিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ৪ লাখ ২৭ হাজার ৯১৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ২ হাজার ৩৮৬ জন এবং নারী ২ লাখ ২৫ হাজার ৫২৭ জন। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১ হাজার ৮৪৮ জন মানুষ বসবাস করছে। এ পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪৪ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৪০ জন এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ২৮ হাজার ১০৪ জন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৬ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।