ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ভারতীয় ঋণে ডাবল লাইন হচ্ছে ১৮৩ কিমি রেলপথ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
ভারতীয় ঋণে ডাবল লাইন হচ্ছে ১৮৩ কিমি রেলপথ রেললাইনের ফাইল ছবি

ঢাকা: প্রায় ১৮৩ কিলোমিটারের দেশের গুরুত্বপূর্ণ দু’টি মিটারগেজ রেলপথ ডাবল লাইনে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে দিনাজপুর-পার্বতীপুর-কাউনিয়া সেকশনের ৫৭ কিলোমিটার মেইন লাইন ও খুলনা-দর্শনা (চুয়াডাঙ্গা) জংশন সেকশনের ১২৬ দশমিক ২৫ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইন। 

রেলপথ দু’টিকে ডুয়েলগেজ করতে মোট ব্যয় হবে ৬ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ভারতীয় ঋণের ৪ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা ব্যবহার করবে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ভারতীয় ঋণের দ্বিতীয় লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) আওতায় প্রকল্প দু’টি বাস্তবায়িত হবে। ২০১৫ সালের জুনে ঢাকা সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নতুন করে ১ শতাংশ সুদে ২০০ কোটি ডলার ঋণের যে ঘোষণা দেন, সেটিই দ্বিতীয় এলওসি নামে পরিচিত।

গত বছরের মার্চে ভারতের সঙ্গে করা এ ঋণচুক্তি ২৭ মে কার্যকর হয়। তার আগেই শুরু হওয়া যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষে নির্বাচিত হয় প্রকল্প দু’টি।

চলতি সময় থেকে ২০২২ সালের জুন মেয়াদে রেলপথ দু’টির ডাবল লাইনে রূপান্তর কাজ শেষ হবে।
 
সূত্র জানায়, পার্বতীপুর-কাউনিয়া সেকশনের ৫৭ কিলোমিটার ডাবল লাইন রেলপথ নির্মাণে ব্যয় হবে ২ হাজার ৮৪৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ৩৮৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা ভারতীয় দ্বিতীয় এলওসি ঋণ ও  বাকি অর্থ সরকারি তহবিল থেকে মেটানো হবে।
 
এ রেলপথে চারটি স্টেশন ভবন, সাতটি প্লাটফর্ম ও চারটি প্লাটফর্ম শেড সম্প্রসারণ এবং সাতটি অ্যাপ্রোচ রোড, দু’টি প্রধান ব্রিজ, ১২টি কালভার্ট ও ৩৩টি বক্স কালভার্ট মেরামত করা হবে। এছাড়াও একটি টেম্পিং স্টেশন মেশিন, দু’টি ড্রিলিং মেশিন, একটি বেন্ডিং মেশিন, ২০টি জেকসহ ছয়টি সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপিত হবে।  

অন্যদিকে খুলনা-দর্শনা জংশন সেকশনের ১২৬ দশমিক ২৫ কিলোমিটার ডাবল লাইন রেলপথ নির্মাণে মোট ব্যয় ৩ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২ হাজার ৮৫১ কোটি টাকা ভারতীয় ঋণ ও বাকি অর্থ সরকারি তহবিল থেকে মেটানো হবে।

এ পথটি ঢাকা-খুলনা ও খুলনা-চিলাহাটির (নীলফামারী) মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে। ফলে সরাসরি ঢাকা থেকে খুলনা হয়ে পঞ্চগড় দিয়ে ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। একই সঙ্গে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি পরিবহনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।  
 
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোফাজ্জেল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ সেকশন দু’টি সিঙ্গেল লাইন হওয়ায় পর্যাপ্ত ট্রেন পরিচালনা করা যাচ্ছে না। ডাবল লাইনে রূপান্তরিত হলে যাত্রীর পাশাপাশি মালামাল পরিবহনও করতে পারবো’।  
 
তিনি বলেন, ‘নৌ-পথ হারানোর পাশাপাশি রেলপথের চাহিদা বাড়ছে।  চাহিদা পূরণে পর্যায়ক্রমে সব সিঙ্গেল লাইন রেলপথকে ডাবল লাইনে রূপান্তর করবো।  ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাবল লাইনের কিছু সেকশন বাকি আছে। ঢাকা-টঙ্গী রুটেও চারটি লাইন করবো। এভাবে রেলপথ থেকে সিঙ্গেল লাইন উঠে যাবে’।
 
কালুখালী- টুঙ্গিপাড়া রেলপথ নির্মাণে বাড়ছে ব্যয়-মেয়াদ

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
এমআইএস/এসএইচ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।