ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডারের বিরুদ্ধে অর্থ ‘আত্মসাত’র অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডারের বিরুদ্ধে অর্থ ‘আত্মসাত’র অভিযোগ

সুনামগঞ্জ: মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত করে দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমাণ্ডার। আর যে ঘটনার মীমাংসার জন্য ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন স্থানীয় থানায়। আবার উপজেলা কমাণ্ডারও ভুক্তভোগীর নামে স্বাক্ষর জালের পাল্টা অভিযোগ করেছেন একই থানায়।

উপজেলা পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) জামালগঞ্জ থানায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অ্যাডভোকেট আসাদ উল্লাহ সরকারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের লম্বাবাক গ্রামের লাইছ মিয়া।  

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, আসাদ উল্লাহ সরকার মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অর্ন্তভুক্ত করার নাম করে তার কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা নিয়েছেন।

এ বিষয়টি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডারসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধা অবগত আছেন।

বর্তমানে লাইছ মিয়া টাকা ফেরত চান।

এদিকে লাইছ মিয়ার বিরুদ্ধেও থানায় স্বাক্ষর জাল করা নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার আসাদ উল্লাহ সরকার। এমন পাল্টাপাল্টি অভিযোগ নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে জামালগঞ্জ থানা পুলিশ।
অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভূক্তির নাম করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রকাশ পাওয়ায় এলাকায় বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। উপজেলা কমান্ডারের দাবি, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন লাইছ মিয়া। এছাড়া তিনি স্বাক্ষর জাল করে কাগজপত্র বিভিন্ন দপ্তরে জমা দিয়েছেন বলেও দাবি করছেন কমাণ্ডার।

লাইছ মিয়া বলছেন, কয়েকজন সাবেক কমান্ডারসহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা সাক্ষী আছেন। কাজেই তার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার প্রমাণ আছে। পুলিশ ঠিকমতো তদন্ত করলেই তা প্রমাণ হবে।
 
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট আসাদ উল্লাহ সরকার বাংলানিউজকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা মিথ্যা। অভিযোগকারীই বরং আমার স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন দফতরে কাগজপত্র জমা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হাসেম বাংলানিউজকে বলেন, টাকা নেওয়া ও স্বাক্ষর স্ক্যান করার বিষয়ে উভয় পক্ষেরই লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ তদন্ত করছে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে একদিন উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনাও করা হয়েছে। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। এখন উভয়পক্ষের মধ্যে আপসের জন্য দায়িত্ব নিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী।

বাংলাদেশ সময়: ০৬০০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।