বুধবার (১৯ জুলাই) ছাত্রীনিবাসের কাকলী ভবনের আবাসিক ছাত্রী ও ঝালকাঠির কাঠালিয়ার আওড়াবুনিয়া এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ে ফারজানা আক্তার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন মামলা আমলে নিয়ে বিষয়টি তদন্তের জন্য ছাত্রীনিবাসের হল সুপারকে নির্দেশ দেন।
মামলার বিবাদীরা হলেন- ছাত্রীনিবাসের কোহীলি ভবনের ছাত্রী ও ছাত্রলীগ নেত্রী মনিরা সুলতানা, কাকলী ভবনের নাঈমা আক্তার, কান্তা ইসলাম, মারিয়া হোসেন ও শারমীন আক্তার।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। ঘটনার দিন (১৪ জুলাই) বেলা ১১টায় আমার গাছ থেকে পেয়ারা খাওয়ার সময় আসামিরা বাদী ও তার সঙ্গে থাকা ছাত্রীদের তা খেতে নিষেধ করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এতে প্রতিবাদ করলে আসামিরা হঠাৎ করে হামলা চালায় এবং ৩৫ হাজার টাকার স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেয়।
বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রীনিবাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে পেয়ারা পাড়াকে কেন্দ্র করে ১৪ জুলাই মারামারির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর হোস্টেলের নিবাসী ও ছাত্রলীগ নেত্রী এবং ফারাজানা আক্তারের দায়ের করা মামলার বিবাদী শারমিন আক্তার ১৭ জুলাই আদালতে প্রথমে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বিবাদীরা হলেন- ছাত্রীনিবাসের ২ নং ভবনের নিবাসী ছাত্রী ও ছাত্রলীগ নেত্রী হেনা আক্তার ও তার অনুসারী একই হলের নিবাসী ঝুমুর আক্তারসহ তিনজন।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
এমএস/জেডএস