বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। তবে তাৎক্ষণিক রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়নি।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বিয়ানীবাজার পৌর শহরের খাসা পন্ডিপাড়া এলাকার শাহাব উদ্দিনের ছেলে এমদাদ (২২), কসবা নাদুরগোষ্টি এলাকার মাসুক আহমদের ছেলে কামরান (২৪), ফতেহপুর হোসেন আহমদের ছেলে ফাহাদ হোসেন (২৩) ও দাশগ্রামের আব্দুল খালেদের ছেলে দেলোয়ার হোসেন মিষ্টু (২৮)।
এছাড়া এ মামলায় আর কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ শ্রেণি কক্ষে গুলিতে নিহত লিটু ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক পাভেল গ্রুপের কর্মী। তাকে হত্যার মোটিভ খুব দ্রুত উদঘাটন হবে-দাবি ওসির।
পুলিশ জানায়- আসামিদের পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ওই কক্ষে দু’টি অস্ত্র থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে গ্রেফতারকৃতরা। লিটুর খুনিদের একজনের কাছে ওই অস্ত্রগুলো রাখা থাকতো। আসামিরা অস্ত্রগুলো দেখার সময় ট্রিগারে চাপ পড়লে বেঞ্চে বসে থাকায় লিটুর চোখের উপরে গিয়ে গুলি আঘাত করে। এতে বিকট শব্দ হলে তারা আতংকিত হয়ে কক্ষ থেকে বেরিয়ে যায়। তবে ঘটনার গভীরে যেতে আরো অধিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে, বলেন ওসি।
এদিকে, একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ লিটুর পরিবার। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে বার বার মূর্চ্ছা যাচ্ছেন লিটুর মা-বাবা।
সোমবার (১৭ জুলাই) বেলা দেড়টার দিকে কলেজের নতুন ভবনের অর্থনীতি বিভাগের একটি কক্ষে মাথায় গুলিবিদ্ধ হন লিটু। রক্তাক্ত অবস্থায় সহকর্মী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পেশায় মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী লিটু পৌরশহরের খাসা পণ্ডিতপাড়ার খলিলুর রহমানের একমাত্র ছেলে। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক পাভেল গ্রুপের কর্মী ছিলেন। এ ঘটনায় রাতেই লিটুর বাবা বাদী হয়ে ৬ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর আটক ৩ জন এবং অপর আটককৃত একজনসহ চারজনকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭
এনইউ/জেডএম