ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঘুঘু-বকের নামে বিক্রি হচ্ছে শালিকের মাংস

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫২ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭
ঘুঘু-বকের নামে বিক্রি হচ্ছে শালিকের মাংস খাঁচা থেকে অবমুক্ত করা হচ্ছে শালিক পাখিগুলোকে

যশোর : ঢাকা-খুলনা কিংবা অন্য জেলা শহরে ফুটপাতের স্যুপ-চপের দোকান থেকে শুরু করে নামিদামি বড় রেস্টুরেন্টেও শালিক পাখির মাংসকে ঘুঘু-বকের বলে বিক্রি হয় বলে জানিয়েছেন প্রভাষ দাস নামে এক পাখি শিকারি। শালিক পাখি শিকার ও সংরক্ষণের দায়ে প্রভাষকে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও, ভারপ্রাপ্ত) মনদীপ ঘরাই বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভয়নগরের ভাটপাড়া ঋষিপাড়ার প্রভাষ দাসের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে খাঁচাভর্তি ৪২টি শালিক পাখি উদ্ধার ও পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক একই পাড়ার অন্য একটি বাড়ি থেকে খাচাভর্তি আরও ৩০টি শালিক পাখি উদ্ধার করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রভাষ দাসকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

একই সাথে বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরে উদ্ধারকৃত ৭২টি খাঁচাভর্তি পাখিকে অবমুক্ত করেন ইউএনও মনদীপ ঘরাই।

স্থানীয়রা জানান, প্রভাষ দাস ও তার বাবা সন্তোষ দাস প্রায় তিন বছর ধরে ধানক্ষেতে কারেন্ট জালের ফাঁদ পেতে শালিক পাখি শিকার করে আশপাশের বিভিন্ন জেলার হোটেল, রেস্টুরেন্টে বিক্রি করে। তাদের দেখাদেখি আরও কয়েকজন এ কাজে জড়িয়ে পড়েছে। আর বেচাকেনার জন্য গড়ে উঠেছে দালালচক্র।

দণ্ডপ্রাপ্ত প্রভাষ দাস জানিয়েছেন, ‘ফুটপাতের স্যুপ-চপ কিংবা নামিদামি বড় বড় হোটেল-রেস্টুরেন্টেও শালিক পাখির মাংসকে ঘুঘু-বকের মাংস বলে বিক্রি হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘন্টা, ১৯ জুলাই ২০১৭
আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।