অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও, ভারপ্রাপ্ত) মনদীপ ঘরাই বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভয়নগরের ভাটপাড়া ঋষিপাড়ার প্রভাষ দাসের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে খাঁচাভর্তি ৪২টি শালিক পাখি উদ্ধার ও পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক একই পাড়ার অন্য একটি বাড়ি থেকে খাচাভর্তি আরও ৩০টি শালিক পাখি উদ্ধার করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রভাষ দাসকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, প্রভাষ দাস ও তার বাবা সন্তোষ দাস প্রায় তিন বছর ধরে ধানক্ষেতে কারেন্ট জালের ফাঁদ পেতে শালিক পাখি শিকার করে আশপাশের বিভিন্ন জেলার হোটেল, রেস্টুরেন্টে বিক্রি করে। তাদের দেখাদেখি আরও কয়েকজন এ কাজে জড়িয়ে পড়েছে। আর বেচাকেনার জন্য গড়ে উঠেছে দালালচক্র।
দণ্ডপ্রাপ্ত প্রভাষ দাস জানিয়েছেন, ‘ফুটপাতের স্যুপ-চপ কিংবা নামিদামি বড় বড় হোটেল-রেস্টুরেন্টেও শালিক পাখির মাংসকে ঘুঘু-বকের মাংস বলে বিক্রি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘন্টা, ১৯ জুলাই ২০১৭
আরআই