ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নেত্রকোনা-কলমাকান্দা সড়কের বেহাল দশা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১২ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭
নেত্রকোনা-কলমাকান্দা সড়কের বেহাল দশা নেত্রকোনা-কলমাকান্দা সড়কের বেহাল দশা

নেত্রকোনা: ধারণ ক্ষমতার অধিক মালবোঝাই ও পাথর-বালু বহনকারী ট্রাক চলাচলের কারণে নেত্রকোনা-কলমাকান্দা সড়কের এখন বেহাল দশা। সড়কে পিচ ঢালাই উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে কাঁদামাটির রাস্তায়। এতে নেত্রকোনা-কলমাকান্দা যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বালু ও পাথর ব্যবসায়ীরা নেত্রকোনার শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি (দুর্গাপুর) সড়কটি ধ্বংস করে এখন নেত্রকোনা-কলমাকান্দা সড়কটি ব্যবহার করছেন। এতে ওই সড়কে পিচ ঢালাই উঠে গিয়ে কাঁচামাটির সড়কে পরিণত হয়েছে।

জানা যায়, ভারত সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর ও কলামাকান্দা উপজেলা থেকে উত্তোলিত বালু-পাথর নদী পথে আসে। এরপর উপজেলার ঠাকুরাকোণা ব্রিজ এবং কিছু দূরে বাইশদার এলাকায় নদীর পাড়ে নামানো হয়। সেখান থেকে সেসব বালু-পাথর অসংখ্য ট্রলি ও ট্রাকভর্তি হয়ে নেত্রকোনা শহরের সড়ক পথ ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যায়। এতে করে নদীর পাড় ও পিচ ঢালাইয়ের সড়ক ভেঙে গিয়ে কাঁচা মাটির সড়কে পরিণত হয়েছে।

নেত্রকোনা-কলমাকান্দা সড়কের বেহাল দশা

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জয়দেব চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, শহর দিয়ে এসব যানবাহন চলাচলে কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

বালুঘাট সংশ্লিষ্ট লোকজনসহ ট্রাক চালকরা বাংলানিউজকে জানান, দায়িত্বশীল অসাধু পুলিশ সদস্যরা তাদের উর্ধ্বতনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতি ট্রাক থেকে টাকা নিয়ে তাদের চলাচলের সুযোগ করে দিচ্ছেন।

নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বালু-পাথর বহনকারী ট্রাক যদি কোনো পুলিশ সদস্য টাকা রেখে শহরে চলাচলের সুযোগ করে দেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দিদারুল আলম তরফদার বাংলানিউজকে জানান, গেল রোজার ঈদের আগে সড়কটি সচল রাখতে ভাঙা-গর্তের বিভিন্ন অংশে খোয়া ও বস্তা ফেলা হয়েছে। ২০১৩ সালের এপ্রিলে ১০টি বেইলি ব্রিজসহ নির্মিত নেত্রকোনা-কলমাকান্দা সড়কটি ৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হয়েছিল। ২১ কিলোমিটার এ সড়কটি প্রস্থ ১২ ফুট।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।