বুধবার (১৯ জুলাই) বেলা ১১টায় বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক মো. আলী হোসাইন এ নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ৭ জুন তার বিরুদ্ধে মামলা করা হলে বরিশাল সিএমএম আদালতের বিচারক মো. আলী হোসাইন আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার আদালতে হাজিরা দেন ইউএনও সালমন। হাজিরায় সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারায় সকাল ১১টার দিকে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
কিন্তু পরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করে দুপুর দেড়টার দিকে আদালতে জামিন আবেদন করা হয়। আদালত তা আমলে নিয়ে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
বিবাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান খান বাংলানিউজকে বলেন, যেহেতু এটা জামিনযোগ্য ধারা ছিল। তাই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় ইউএনও সালমনের জামিন আবেদন করা হয়। একই আদালত তা আমলে নিয়ে তাকে জামিন দেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির মামলায় জামিন বরগুনার ইউএনও’র
এদিকে বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও মামলার বাদী সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ সাজু জানান, ইউএনও সালমন আগেন বরিশালের আগৈলঝাড়া ইউএনও ছিলেন। ওই সময় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন উপলক্ষে একটি নিমন্ত্রণপত্রে বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃত করে লাগানো হয়।
‘এতে ওই নিমন্ত্রণপত্র যাদের হাতে যায় তারাই বঙ্গবন্ধুর বিকৃত ছবি দেখে মর্মাহত হন। আর তাই এ ঘটনায় আদালতে মামলা করা হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭
এমএস/এমএ/