তিনি বলেছেন, আশা করছি, আগামী ১৩ নভেম্বর হুমায়ুন আহমেদের জন্মদিনে ওই জাদুঘরের একটা অংশ উদ্বোধন করতে পারবো।
বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরে গাজীপুরের পিরুজালীর নুহাশ পল্লীতে হুমায়ুন আহমেদের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন অভিনেত্রী ও পরিচালক শাওন।
এ সময় শাওনের ছেলে নিষাদ, নিনিত, শাওনের মা তহুরা আলী, বাবা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী, হুমায়ুন আহমেদের বোন সুফিয়া হায়দার ও রোকসানা আহমেদসহ অসংখ্য ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলা পৌনে ১২টার দিকে পরিবারের পক্ষ থেকে হুমায়ূন আহমেদের সমাধিতে ফুলের শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় সেখানে কবর জিয়ারত ছাড়াও দোয়ার আয়োজন করা হয়।
হুমায়ূনের স্ত্রী শাওন বলেন, হুমায়ূন আহমদের সবচে বড় স্বপ্ন ছিল ক্যানসার হসপিটাল প্রতিষ্ঠা করা। আমার একার পক্ষে সে স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব নয়। আমি এ দেশের নীতি-নির্ধারক যারা আছেন তাদের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, আপনারা সবাই মিলে যদি একটু উদ্যোগ নেন-তাহলে হুমায়ূনের স্বপ্ন পূরণ হবে। ‘আমি আমার পক্ষ থেকে জীবন দিয়ে যতটুকু করবার সে চেষ্টা করে যাবো। কিন্তু আমি একা। আমার আহ্বানে একটি ক্যানসার হসপিটাল করা সম্ভব নয়। কিন্তু হুমায়ুন আহমেদর একটা আহ্বানে সেটা সম্ভব ছিল। এক হুমায়ুন আহমেদের ডাকে বাংলাদেশে তার সমস্ত ভক্ত, তার পাঠক, তার দর্শকরা যেভাবে একত্রিত হতো। আমার ডাকে সেটা হবে না। আমি তো আছিই, আমি সব সময় থাকবো। ক্যানসার হসপিটালের এ উদ্যোগটা গোষ্ঠীবদ্ধভাবে নিতে হবে। ’
হুমায়ুন আহমেদের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে হিমু পরিবহন, হুমায়ুন আহমেদ প্রকাশনী ও বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সদস্য ও কর্মকর্তারা তার সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
তারা সেখানে প্রয়াত লেখকের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও কবর জেয়ারত করেন। অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে অর্ধশতাধিক হিমু সদস্য নুহাশ পল্লীতে যান। যাওয়ার পথে ক্যানসার সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ ও শোক বইয়ে ভক্তদের স্বাক্ষর নেন তারা।
নুহাশ পল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল বাংলানিউজকে জানান, প্রয়াত লেখক হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকীতে সকাল থেকেই ভক্ত-দর্শকরা নুহাশপল্লীতে ভিড় জমাতে শুরু করেন। সকালে আশ-পাশের মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্ররা কোরআন তেলওায়াত করেন।
মাদ্রাসা ও এতিম খানার শিক্ষার্থীসহ অনেকে দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয় বলে জানান তিনি।
১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জন্ম নেওয়া নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদের বাবার নাম ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়েশা ফয়েজ। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।
মৃত্যুর পর গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামে তার নিজ হাতে গড়া স্বপ্নের নুহাশ পল্লীতে সমাহিত করা হয় তাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭
আরএস/এমএ