ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

এমপি রানার অভিযোগ গঠনের শুনানি ৮ বারের মতো পেছালো

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১১ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭
এমপি রানার অভিযোগ গঠনের শুনানি ৮ বারের মতো পেছালো

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি ফের পিছিয়েছে।

মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের এমপি আমানুর রহমান খান রানাকে আদালতে হাজির না করায় বুধবার অভিযোগ গঠনের শুনানি ফের পেছালো। এর আগে আরো সাতবার একই কারণে অভিযোগ গঠন পিছিয়েছে।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত সরকারি কৌশুলী মনিরুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে জানান, প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ এর বিচারক আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে বুধবার শুনানি গঠনের তারিখ ধার্য্য ছিল। কিন্তু কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আদালতকে জানানো হয়, এমপি রানা পাইলসে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে কারাগার থেকে আদালতে নেয়ার মতো অবস্থা নেই বলে কারাগারের চিকিৎসক জানিয়েছেন। তাই তাকে হাজির করা যায়নি। পরে আদালত অভিযোগ গঠনের জন্য আগামি ৬ সেপ্টেম্বর নতুন তারিখ ধার্য্য করেন।

এছাড়া বাদী পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের ও আইন বিষয়ক সম্পাদক এস আকবর খান শুনানিতে অংশ নেন।

দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর আগের বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর এ আদালতেই আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন এমপি রানা। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি কাশিমপুর কারাগারে আছেন।

বেশ কয়েক দফা উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায় টাঙ্গাইলের কলেজপাড়ায় তার বাসার সামনে। ঘটনার তিনদিন পর নিহত ব্যক্তির স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। প্রথমে থানা-পুলিশ ও পরে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) মামলার তদন্ত শুরু করে। ২০১৪ সালের আগস্টে এ মামলার আসামি আনিসুল ইসলাম ওরফে রাজা ও মোহাম্মদ আলী গ্রেপ্তার হন। আদালতে তাদের স্বীকারোক্তিতে এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাইয়ের জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। এরপর রানা ও তার ভাইয়েরা আত্মগোপনে চলে যান।
একই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি রানা, তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাঁকন ও ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৭
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad