বুধবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশের কিছুকিছু ব্যবসায়ীর হঠাৎ মুনাফার লোভে ভেজালের প্রবণতা রয়েছে।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকারে এসে দেখেছি চিংড়ির ভেতর লোহা ঢুকিয়ে ওজন বৃদ্ধি করে কিছু ব্যবসায়ী রফতানি করে। এতে চিংড়ি রফতারি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতের বিদেশিদের সঙ্গে এসব সমস্যা দূর করে আবার রফতানি শুরু করি।
চিংড়িসহ স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে মাছ প্রক্রিয়াজাত এবং নিয়ম মেনে রফতানি করার জন্য সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
বর্তমানে বছরে প্রায় ৪০ লাখ মেট্টিক টন মাছ উৎপাদন হচ্ছে দেশে, এক কোটি ৮২ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা এখন মৎস্য সম্পদের সঙ্গে সম্পর্কিত।
জিডিপিতে মৎস্যসম্পদের অবদান প্রায় ৪ শতাংশ। আর দেশে প্রাণিজ আমিষের ৬০ ভাগের যোগান আসে মৎস্য খাত থেকে। মিঠা পানির মৎস্য আহরণে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ।
হাওর অঞ্চলে মাছ চাষ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যার কারণে সেখানে প্রায়ই ফসল নষ্ট হয়। এ কারণে সেখানে মাছ চাষে বেশি জোর দিতে হবে। হাওরের ভেতরে খালগুলো ড্রেজিং করতে হবে।
কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা ও সিলেট বিভাগের হাওড়গুলোর পাশাপাশি উত্তবঙ্গের বিল ও জলাশয়গুলোতে মাছ উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে রপ্তানি বাড়াতে জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।
সাভার, চট্টগ্রাম ও খুলনায় তিনটি আধুনিক মাননিয়ন্ত্রণ ল্যাব স্থাপন করার কথা জানিয়ে তিনি সিলেট ও উত্তরবঙ্গে আরও দুটি ল্যাব স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক, প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, মৎস্য সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খান, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মৎস্যখাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। যার মধ্যে ৪টি স্বর্ণ ও ৯টি রৌপ্য পদক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর গণভবনের লেকে তিনি মাছের পোনা অবমুক্ত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭
এমইউএম/এসএইচ