বুধবার (১৯ জুলাই) সকালে রাজধানীর শাহবাগ থেকে বাস ও মাইক্রোবাস নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের ভক্তদের এ সংঠনটির সদস্যরা যাত্রা করেন।
হিমু পরিবহণের প্রধান সমন্বয়ক আহসান হাবিব মুরাদ বাংলানিউজকে বলেন, হুমায়ূন আহমেদ আমাদের ভালোবাসার জায়গা।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের পক্ষ থেকে আর কী কী থাকছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, স্যার যেহেতু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান, সেজন্য আমরা প্রতিবারের মতো ক্যানসার নিয়ে জনগণকে সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ করব। এবার বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে। হিমু পরিবহণের পক্ষ থেকে একটি কমেন্ট বক্স রাখা হবে। সেখানে সবাই স্যার সম্পর্কে মতামত দিতে পারবে। এছাড়া ঢাকার বাইরে রংপুরে চলচ্চিত্র উৎসব ও কুষ্টিয়াতে হুমায়ূন আহমেদের প্রবন্ধ প্রদর্শনী হচ্ছে।
হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কে নিজের ভালোলাগা জানিয়ে তিনি বলেন, তিনি আমাদের বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে গেছেন। তরুণ প্রজন্মকে বৃষ্টি ও জোছনা কীভাবে উপভোগ করতে হয় তা আমাদের দেখিয়ে দিয়েছেন। বই প্রকাশনায় যে শূন্যতা তৈরি হয়েছিল তা কাটিয়ে উঠতে বড় ভূমিকা রেখেছেন তিনি।
হুমায়ূন ভক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল হাকিম আবির বাংলানিউজকে বলেন, সামগ্রিক অর্থে বাংলা সাহিত্যে তারুণ্যের প্রতিনিধিত্বকারী লেখক হুমায়ুন আহমেদ। আমরা যারা তরুণ প্রজন্ম বাংলা সাহিত্যকে ধারণ করি, আমাদের কাছে একারণেই হুমায়ূন সাহিত্য গুরুত্বপূর্ণ। নুহাশ পল্লীতে হুমায়ুন আহমেদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমরা সবাই মিলে সেখানে যাচ্ছি।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হুরে জান্নাত বলেন, হুমায়ূন আহমেদের প্রতিটি সৃষ্টি আমার কাছে ভালো লাগে। আমি তার লেখার ভক্ত। তার লেখা গান, সিনেমা, নাটক সবকিছুই প্রভাবিত করে আমাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭
এসকেবি/এসএনএস