ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ফেনীতে পিডিবি’র বিরুদ্ধে মনগড়া বিল তৈরির অভিযোগ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৭
ফেনীতে পিডিবি’র বিরুদ্ধে মনগড়া বিল তৈরির অভিযোগ

ফেনী: মিটার রিডিং না করেই তৈরি করা হয় বিল। আর এমন ভূতুড়ে বিল গ্রাহকদের পরিশোধ করতে হচ্ছে মাসের পর মাস। মিটারে উঠা ইউনিটের সঙ্গে পুরোটাই ভিন্ন বিলপত্রে লেখা ইউনিটের হিসাব। এ অভিযোগ শুধু এক-দুইজনের নয়-বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ফেনীর ৫১ হাজার ৫শ’ গ্রাহকের মধ্যে অনেকেরই। 

সাধারণ গ্রাহকদের কাছ থেকে অভিযোগ উঠেছে, বিল রিডাররা অফিসে বসেই বিল তৈরি করে গ্রাহকদের তা পরিশোধ করতে বাধ্য করছেন।  

ফেনী শহরের একাডেমি, বনানী পাড়া, মাস্টার পাড়া, উকিল পাড়া, শান্তি কোম্পানি রোড, ডাক্তার পাড়া, পাঠানবাড়িসহ পৌর এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিল রিডাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার না দেখে অফিসে বসেই ইচ্ছেমতো বিদ্যুতের ইউনিট ব্যবহার দেখিয়ে বিল তৈরি করায় কোনো মাসে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসছে, আবার কোনো মাসে খুবই কম।

 

কখনও মিটারে দেখানো ব্যবহৃত ইউনিটের চেয়ে বিদ্যুৎ বিলে কয়েকগুণ বেশি উল্লেখ করা হয়। ভোগান্তির শিকার শহরের আতিকুল আলম সড়কের ফাতেমা আক্তার জানান, তার মিটার নম্বর-০০০০৪৮৭৫। তার মিটারে বর্তমানে মোট ইউনিট দেখা যাচ্ছে ১৩৫৪৮, কিন্তু বিল রিডাররা গত জুন মাসে বিলপত্রে ১৩৮৬৫ ইউনিট দেখিয়ে বিল করে। অথ্যাৎ ৩১৭ ইউনিট বেশি দেখিয়ে ১ হাজার ৫শ’৮৫ টাকা অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে বাধ্য করা হয়েছে।  

মে মাসে তিনি বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেছেন ২ হাজার ১শ’৫৪ টাকা।  এভাবে গত কয়েকমাস বেশি বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে তাকে।
  
তিনি জানান, কয়েকবার সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে অতিরিক্ত ইউনিট কমানোর অনুরোধ জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি।  

একই ধরনের ভোগান্তির শিকার শহরের দাউদপুল এলাকার হারুন ম্যানশনের বাসিন্দা কাউছার হামিদ। তিনি জানান, আগের মাসে যেখানে বিল এসেছিল ২শ’৫০ টাকা সেখানে পরের মাসে আসে ১ হাজার ৭৫ টাকা।  

একই অভিযোগ শহরের জেল রোড এলাকার ইউরো ফ্লাওয়ার টাচ-এর সত্ত্বাধিকারী আজগর আলীর।  

এ ব্যাপারে কথা হয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহীদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, এমন অভিযোগ নিয়মিতই আসে। মিটার রিডারদের অবহেলার কথা তিনিও স্বীকার করেন। তিনি জানান, নিয়মিত কোনো রিডার না থাকায় চুক্তিভিত্তিক লোক দিয়ে কাজ করাতে হয়।  

তিনি জানান, সাময়িক সমন্বয়হীনতা হলেও বিল সমন্বয় করা হবে। এরপরও যদি কোনো গ্রাহকের অভিযোগ থাকে তাহলে অভিযোগ বক্সে অভিযোগ জমা দেওয়ার জন্য তিনি অনুরোধ করেন।  

তিনি বলেন, সমস্যাটি দূর করার জন্য ইতোমধ্যেই প্রিপেইড মিটারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, প্রিপেইড মিটার হলে এসব সমস্যা আর হবে না।  
বাংলাদেশ সময়: ০৫১৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭
এসএইচডি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad