মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার ভুন্দুরচরের বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে রৌমারী থানায় মামলা করলে সন্ধ্যায় এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী সামছুদ্দোহাকে আটক করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রৌমারী উপজেলার সীমান্তবর্তী চর ফুলবাড়ি গ্রামের মাজম আলীর মেয়ে মাজেদার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ভুন্দুরচর গ্রামের বদিউজ্জামানের ছেলে সামছুদ্দোহার বিয়ে হয়।
তাদের মাহবুব (৮) ও দোলেনা (৫) নামের দুই সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য প্রায়ই মাজেদাকে নির্যাতন করতো সামছুদ্দোহা।
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে এলাকাবাসী গৃহবধূকে উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের মা মর্জিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, যৌতুকের জন্য আমার মেয়ের ওপর প্রতিদিনই নির্যাতন করা হতো। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) রুহানী বাংলানিউজকে জানান, নিহতের স্বামী সামছুদ্দোহাকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৭
আরআর