শিশুটির অভিভাবক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দেওয়ানের খামার গ্রামে শিশুটি নানা বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে একই গ্রামের আজগর আলীর ছেলে শহিদুল (৩৮) শিশুটিকে কাঁঠালপাতা গাছ থেকে ছিঁড়ে দেওয়ার অজুহাতে ডেকে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালায়।
সোমবার (১৭ জুলাই) পাশবিক নির্যাতনে অসুস্থ্য শিশুটিকে সুস্থ করতে প্রথমে হোমিও চিকিৎসা চালায় ধর্ষক শহিদুলের আত্মীয়স্বজন। কিন্তু রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় ভুরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
শিশুটি সুচিকিৎসায় কুড়িগ্রাম জেলা সদরে অবস্থান করায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়নি বলে জানান শিশুটির অভিভাবক।
ভুরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) আবু সায়েম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুড়িগ্রাম জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবাল (১৮ জুলাই) ভুরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাপস চন্দ্র পন্ডিত বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি লোকমুখে শুনছি। এখন পযর্ন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৭
জিপি/