ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ঘুষ নেওয়ার সময় প্রধান নৌ প্রকৌশলী আটক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৭
ঘুষ নেওয়ার সময় প্রধান নৌ প্রকৌশলী আটক

ঢাকা:  ৫ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম ফখরুল ইসলামকে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত বিআইডব্লিউটিএ ভবনের নিজ কার্যালয়ের ৮ম তলা থেকে আটক করে দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে একটি অভিযানিক টিম।

নাসিম আনোয়ার বাংলানিউজকে জানান, দুপরে বিআইডব্লিউটিএ এর কার্যালয় থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণকালে তাকে আটক করা হয়।

বেঙ্গল মেরিন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস'র জাহাজের নকশা অনুমোদনের জন্য তিনি এই টাকা গ্রহণ করেছিলেন। ওই প্রতিষ্ঠানের অথরাইজড পার্সন এএনএম বদরুল আলমের কাছ থেকে ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ২১টি জাহাজের নকশা অনুমোদনের জন্য প্রতিটি জাহাজের জন্য আকারভেদে ৫-১৬ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন ফখরুল ইসলাম।

গ্রেফতার অভিযানে ছিলেন- দুদকের ঢাকা-১ এর উপ পরিচালক মো. ইব্রাহিম, সহকারী পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. আব্দুল ওয়াদুদ, মো. মনিরুল ইসলাম, নুর-ই আলমসহ মোট ৯ সদস্য।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, নৌ পরিবহন অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অবৈধ পন্থায় অর্থ উপার্জনের বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে ইস্কাটনের শান্তা টাওয়ারে তিন কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাটে তার বিলাসবহুল জীবনযাপনেরও তথ্য হাতে রয়েছে দুদকের। এসব বিষয়েও এখন তদন্ত করে দেখবে কমিশন।

এদিকে নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রধান প্রকৌশলী একেএম ফখরুল ইসলাম ১৯৯৬ সাল থেকে নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরে কর্মরত আছেন। তার বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন জাহাজের নকশা অনুমোদনের জন্য আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ আছে। ফিটনেসবিহীন বহু জাহাজ ফিটনেসের সনদও দিয়েছেন তিনি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অনেক অভিযোগ বিভাগীয়ভাবে তদন্তও চলছে। কয়েক মাস আগেও তার বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠায় নৌ-মন্ত্রালয়ের অতিরিক্ত সচিব একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন।

 

এ বিষয়ে নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের সচিব অশোক মাধব রায় বাংলানিউজকে বলেন, নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী একেএম ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠায় একটি তদন্ত কমিটিও সম্প্রতি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। এখন যেহেতু ঘুষের টাকাসহ তিনি দুদকের হাতে আটক হয়েছেন সুতরাং তার বিরুদ্ধে আইনানুগভাবে আমরা খুব শিগগিরই ব্যবস্থা নেবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭,২০১৭/আপডেট ১৮৫৬
এসজে/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।