ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জাবিতে অনশনবিরোধী পাল্টা কর্মসূচি

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৭
জাবিতে অনশনবিরোধী পাল্টা কর্মসূচি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রশাসনের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির প্রতিবাদে পাল্টা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। 

সোমবার (১৭ জুলাই) অনশনরত শিক্ষার্থীদের শাস্তির দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ।

এদিকে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো অনশন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।

এরইমধ্যে অনশনে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

অনশনরত শিক্ষার্থীদের শাস্তির দাবিতে আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের বিক্ষোভ মিছিলে প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্ধশতাধিক শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।  

মিছিলের বিষয়ে সংগঠনটির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমি ক্যাম্পাসের বাইরে ছিলাম। এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না।

জানা যায়, গত ১৫ জুলাই (শনিবার) মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনশনে বসেন পূজা বিশ্বাস ও সর্দার জাহিদুল ইসলাম। পরে খান মুনতাসির আরমান, তাহমিনা জামান তুলি, ফয়সাল আহমেদ রুদ্র, নাইমুল আলম মিশু, তাসনোভা তাজিন ইভা, রাতুল খালিদ অনশনে যোগ দেন।

অনশনকারীদের মধ্যে পূজা বিশ্বাস, জাহিদুল ইসলাম ও তাহমিনা জামান অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের প্রত্যেককেই স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।

ডাক্তার বিরেন্দ্র কুমার বাংলানিউজকে জানান, অনশনরত শিক্ষার্থীদের রক্তচাপ কমে গেছে। এছাড়া কিছু না খাওয়ায় তাদের শরীরে শর্করাসহ অন্যান্য উপাদান কমে গেছে। তাই তাদেরকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।  

অনশনরত শিক্ষার্থীরা জানান, মামলা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত অনশন চলবে।  

এদিকে, তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক রাশেদা আখতার মিছিলে অংশগ্রহণ করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক নজির আমিন চৌধুরী জয় এ বিষয়ে বাংলানিউজকে বলেন, তদন্ত কমিটির একজন সদস্য কিভাবে মিছিলে অংশগ্রহণ করেন? তার অংশগ্রহণ তদন্ত কমিটির পক্ষপাতদুষ্টতার সুস্পষ্ট প্রমাণ। এ তদন্ত কমিটিকে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।

এ ব্যাপারে অধ্যাপক রাশেদা আখতারকে ফোন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন।  

রোববার (১৬ জুলাই) শিক্ষার্থীদের অনশনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডাকেন। সভায় মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়নি। তবে শিক্ষার্থীদের অনশন প্রত্যাহারে দাবি জানানো হয়।  

গত ২৭ মে আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের হামলার বিচার দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও ও ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে ৫৪ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৭
এনএএইচ/জিওয়াই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।