রোদ যখন শরীরকে স্পর্শ করছে মনে হচ্ছে যেন আগুনের ছ্যাঁকা লাগছে। কড়া রোদে বাড়ি থেকে বের হওয়া যাচ্ছেনা।
অন্যদিকে গ্রাম অঞ্চলে পল্লী বিদ্যুতের দেখা পাওয়া দায়। তীব্র তাপের হাত থেকে রক্ষা পেতে আখের রস ও ফলের দোকানগুলোতে ভিড় করছে একটু স্বস্তির খোঁজে থাকা মানুষেরা।
দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, সোমবার (১৭ জুলাই) দিনাজপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আজ দেশেরও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি জানান, গত এক সপ্তাহে গড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আগামী তিন দিনের আবহাওয়ার পূর্ব আভাস অনুযায়ী ভারী বর্ষণের সম্ভবনা রয়েছে।
দিনাজপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রুবেল বাংলানিউজকে জানান, বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৫০ মেগাওয়াটের একটি কেন্দ্রের অসুবিধার কারণের চাহিদা তুলনায় অর্ধেকেরও কম বরাদ্দ পাওয়ায় এই লোডশেড আওতায় পড়ছে গ্রাহকরা। তবে আশা করা যাচ্ছে আজকের মধ্যেই এ সমস্যার সমাধান হবে।
দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. পারভেজ সোহেল রানা বাংলানিউজকে বলেন, তীব্র গরমে পানিবাহিত ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগ বেশী দেখা যায়। এ ধরনের রোগ থেকে রক্ষা পেতে রোদে ঘোরাঘুরি থেকে বিরত থাকা, অধিক ঠাণ্ডা পানির পরিবর্তে স্বাভাবিক তাপমাত্রার অথবা হালকা ঠাণ্ডা পানি পান করতে হবে, সুতির মধ্যে হালকা কাপড় পরিধান করতে হবে, ঘেমে গেলে মুছে ফেলতে হবে।
প্রচুর পরিমাণের পানি ও খাবার স্যালাইন গ্রহণ করতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে ফুটপাতের বাড়তি অস্বাস্থ্যকর খাবার ত্যাগ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৭
এএটি/