বাংলানিউজকে এমনটাই জানালেন -বিজিবি’র ৯০তম রিক্রুট ব্যাচ নবীন সৈনিকদের মধ্যে সর্ববিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী সিপাহী পাপিয়া আক্তার।
বিজিবি’র ৯০তম ব্যাচে নবীন সৈনিক হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছে ৪৩৩ জন।
গত ১৬ জুলাই চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জত এ অবস্থিত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ'র একমাত্র প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান “বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার এন্ড কলেজ” ৯০তম ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ ও শপথ গ্রহণের মাধ্যমে তারা বিজিবি'র সৈনিক জীবনে প্রবেশ করেন।
সর্ববিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী সৈনিক পাপিয়া আক্তার ছোট বেলা থেকেই নানা দখিল উদ্দিনের কাছে মুক্তিযুদ্ধের অনেক ঘটনা শুনেছেন। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাগুলো আমার মনের ভেতরে থাকা দেশপ্রেমকে প্রখর করে দিয়েছে। জীবন দিয়ে হলেও এই মাতৃভূমিকে রক্ষা করে যাবো। ’
কুষ্টিয়ার জেলখানা মোড়ের পিয়ারাতলা গ্রামের কৃষক আব্দুল ওহাবের মেয়ে পাপিয়া আক্তার। তার মা লাভলী বেগম একজন গৃহিনী ও তার ছোট ভাই তাজমির হোসেন পিয়াস ৮ম শ্রেণীর ছাত্র। পাপিয়া কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে অনার্সের প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
পাপিয়া বলেন, বিজিবির এই প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে এসে আমি অনেক কিছু শিখেছি। সিনিয়র স্যারদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছি, চেষ্টা করেছি।
‘সর্ববিষয়ে শ্রেষ্ঠ হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এই শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রয়োগ করে দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারলেই আমি নিজেকে গর্বিত মনে করবো’ -বললেন সিপাহী পাপিয়া।
সর্ববিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে আনন্দিত পাপিয়ার মা লাভলী বেগম মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে জানান, ‘আমরা অনেক আনন্দিত। পাপিয়া দেশের জন্য কাজ করবে এতে আমরা গর্বিত’।
বিজিবি’র রিক্রুট ট্রেনিং ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল সাজ্জাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বিজিবিতে মেধাবী ও চৌকস জওয়ানরা আসছে। নারী সৈনিকদের বিষয়ে তিনি বলেন, নারী-পুরুষ বৈষম্য থেকে বেরিয়ে আসতেই দেশব্যাপী কাজ চলছে। সেই আঙ্গিকেই বিজিবিতে তিন ব্যাচ নারী সৈনিক নেওয়া হয়েছে।
এবার নবীন সৈনিকদের মধ্যে সর্ববিষয়ে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন একজন নারী। এটা ইতিবাচক, কারণ আমাদের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী, সংসদের স্পিকার একজন নারী। এখন বিজিবিতেও নারীরা ভালো করছে। এটা বাহিনীর জন্য ভালো।
এদিকে, বিজিবি’র ৯০তম এই নবীন সৈনিকদের ব্যাচে আরও তিনজন বিষয় ভিত্তিকভাবে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন।
শারীরিক বিষয়ে প্রশিক্ষণে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন সিপাহী সোমা লপা রায়। তিনি দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলায় দিনেশ রায় এর মেয়ে। দিনাজপুর ডিগ্রি কলেজে বিএ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সিপাহী লপা। পরিবারের দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে লপা বড়।
সিপাহী সোমা লপা রায় বাংলানিউজকে বলেন, ‘মাতৃভূমিকে যেকোনো মূল্যে রক্ষা করতে আমি ব্রত নিয়েছি। দেশের সীমান্ত প্রহরার কাজ করতে চাই। ’
পুরুষ সৈনিকদের মধ্যে শারীরিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন সিপাহী মো. সুমন মিয়া। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানার সহদেবপুর গ্রামের মো. নোয়াজ আলীর ছেলে। পরিবারের পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছোট। সুমন ডিগ্রি প্রখম বর্ষের ছাত্র।
ফায়ারিংয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছ্নে মো. নাহিদ হাসান। টাঙ্গাইলের টেংরি পাড়া গ্রামের মো. কামাল উদ্দিনের ছেলে তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৭
এসজেএ/আরআই