সোমবার (১৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান গেট বন্ধ করে দেন মিলনের সহপাঠী ও অন্য শিক্ষার্থীরা।
সকাল ৯টার দিকে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সবগুলো শ্রণিকক্ষে তালা লাগিয়ে দেন মিলনের সহপাঠীরা।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মোস্তফা কামাল শিক্ষার্থীদের প্রধান গেট ছেড়ে দিতে বলেন। পরে জবি প্রক্টর ড. নুর মোহাম্মদ ঘটনাস্থলে যান এবং শিক্ষার্থীদের গেট ছেড়ে দিতে বললে তারা গেট থেকে সরে আসেন।
শিক্ষার্থীরা ভিসি ভবনের সামনে অবস্থান নিলে পদার্থ বিজ্ঞানের চেয়ারম্যান পরিমল বালা ও অধ্যাপক ড. নুরে আলম আব্দুল্লাহর সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
এসময় প্রক্টর ড. নুর মোহাম্মদের উদ্যোগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ৭ জন শিক্ষার্থীকে ডেকে নিয়ে নিখোঁজ মিলনের সন্ধানে করণীয় নিয়ে আলোচনায় বসেন।
গত ২৩ মে ভোরে মোহাম্মদপুরের আদাবর এলাকা থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে কয়েকজন মিলনকে তুলে নিয়ে যায়। আটকের খবর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অস্বীকার করলে পরদিন মিলনের পরিবার আদাবর থানায় সাধারণ ডায়েরি করে।
তার সহপাঠীরা ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানালে প্রক্টর নূর মোহাম্মদ পুলিশের সঙ্গে কথা বলে শিক্ষার্থীদের জানান, মিলন ডিবি হেফাজতে আছেন। এতে শিক্ষার্থীরা নিশ্চিন্ত হন। কিন্তু ডিবি কার্যালয়ে মিলনের মা-বাবা দেখা করতে গেলে মিলন তাদের হেফাজতে নেই বলে জানানো হয়।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন, আগের তথ্যটি ভুল ছিল। মিলন তাদের হেফাজতে আছে বলে পুলিশ এখন স্বীকার করছে না।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ জুলাই মিলনকে উদ্ধারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৭
ডিআর/আরআর