শুধু আব্দুর রহমানের সকালটা এমন নয়, গোটা রাজধানীর কর্মজীবী মানুষের এমন ভোগান্তি দিয়ে দিনের শুরু এ যেন নিত্যদিনের সঙ্গী।
সোমবার সকালে তীব্র গরমে দীর্ঘ যানজটে কর্মস্থলগামী মানুষকে অস্বস্তিতে পড়তে দেখা যায়।
বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা রাফিয়া আহসান। প্রতিদিন মহিলা বাসে যাতায়াত করেন মতিঝিল পর্যন্ত। একটু দেরি করে বাসা থেকে বের হওয়ায় বাস মিস করেন। এরপর দীর্ঘ সময় বাসের জন্য অপেক্ষা। নারী বলে অপেক্ষা আরও দীর্ঘতর।
রাফিয়া আহসান বলেন, আজকে আর সময়মতো অফিসে পৌঁছাতে পারবো না। রোদের মধ্যে অনেকক্ষণ হলো দাঁড়িয়ে আছি বাসে উঠতে পারছি না। নারী হওয়ায় সিটের দোহাই দিয়ে উঠতে দিচ্ছে না।
মিরপুর-১০ থেকে সকাল পৌনে ৮টায় বাসে উঠেছে দিদারুল আলম। সাড়ে ৯টা থেকে খামারবাড়ির জ্যামে ১৫ মিনিট বসে। ১০টায় তার অফিস শুরু। টেনশনে মাথা চুলকাতে থাকেন দিদারুল।
তিনি বলেন, ঢাকার জ্যাম দিন দিন নতুন রূপ নিচ্ছে। আগে ৮টায় বের হলে ১০টায় অফিসে ঢোকা যেত এখন তার আগে বের হলেও পৌঁছানো যায় না। তার উপর গাড়িগুলো বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে ঠাসাঠাসি করে লোক উঠানোসহ নানা বিশৃঙ্খলায় সকালটা বিভৎস রূপ নেয়।
গত তিনদিন ধরে তীব্র গরম পড়েছে। প্রকৃতির এমন বৈরী আবহাওয়ায় রোদে দাঁড়িয়ে পরিবহনেরর জন্য অপেক্ষা, বাসে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যাতায়াত, দীর্ঘক্ষণ জ্যামে বসে অনেকটা নাজেহাল নগরবাসী।
বিজয় সরণীর জ্যামে বসে একটানা ঘাম মুছে যাচ্ছেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং কর্মকর্তা অনিক চৌধুরী।
প্রতিদিন যাতায়াতের এমন কষ্ট, আর সহ্য হয় না। মনে হয়, ঢাকা শহর ছেড়ে পালাই। কিন্তু কি করার পেটের তাগিদে থাকতে হয়। গরমে জ্যামে যাতায়াত করলে আমার খাবারে অরুচি, মাথা ব্যাথা ও শরীরের ক্লান্তি ছড়িয়ে পড়ে। কাজে এনার্জি পাই না-বলে জানান এই চাকরিজীবী।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৭
এমসি/আরআর