নিহত দুই সন্ত্রাসীর নাম হচ্ছে- বাবু ওরফে গুড্ডু বাবু (৩৫) ও আল মাহমুদ (২৫)। এদিকে অপর ঘটনায় সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের অভিযানে নূরনগর এলাকায় ইয়াসিন আরাফাত নামের এক সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হন।
খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) মুখপাত্র এডিসি মনিরা সুলতানা বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, এদের প্রত্যেক্যের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ইতোপূর্বে গ্রেফতার করা সন্ত্রাসী গুড্ডুকে নিয়ে তার সহযোগীদের গ্রেফতার এবং অস্ত্র উদ্ধারের জন্য ভোরে রেলওয়ে এলাকার প্রভাতী স্কুলের পেছনে অভিযানে যায় পুলিশ। সেখানে আগে থেকে অবস্থানরত সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালায়। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। গুলি বিনিময়কালে গুড্ডু ও তার সহযোগী মাহমুদ গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতদের বিরুদ্ধে যুবলীগ কর্মী সাইদুর হত্যা মামলাসহ ৪টি মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পাইপগান, ৩ রাউন্ড গুলি ও ৪টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বাংলানিউজকে জানান, ভোরে নগরীর নূরনগর এলাকায় আলাদা অভিযানে পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময় হয়। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সন্ত্রাসী ইয়াসিন আরাফাতকে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও অপহরণসহ ৬টি মামলা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৭
এমআরএম/আরআইএস