নয়ারহাট থেকে চৌরাবালি এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থাও বেশ উন্নত। নয়ারহাট-সাভার আঞ্চলিক সড়কের পাশেই ওই বাড়িটির অবস্থান।
বাড়িটির সামনের অংশে রয়েছে চারটি দোকান। আর ভেতরে রয়েছে ছোট ছোট কয়েকটি কক্ষ। বাড়ির পেছনের অংশে কৃষি জমি। সামনের অংশে পাকা সড়ক। যেখান থেকে নয়ারহাট বা সাভার এলাকায় যোগাযোগ করা যায় সহজে। বাড়ির দুইপাশের কয়েক’শ গজ পরে জনবসতি থাকলেও ওই বাড়িটি একেবারেই নির্জন।
বাড়িটির খানিক দূরে কয়েকটি ঘর থাকলেও এর ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে স্থানীয়দের তেমন কোনো যোগাযোগ নেই বলে জানান এলাকার কয়েকজন যুবক। এমনকি ওই বাড়িতে কেউ বসবাস করতেন কিনা সে বিষয়েও তাদের তেমন কোনো তথ্য জানা ছিলো না।
পাথালিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার জহির উদ্দিন জানান, বাড়ির মালিক ইব্রাহিম সরদার একই ইউনিয়নের ঘুঘুদিয়া এলাকার মৃত. জব্বার সরদারের ছেলে। সংসার জীবনে দুই বিয়ে করেন জব্বার। ছয় মেয়ে ও তিন ছেলে সন্তান রেখে মারা যান তিনি। ইব্রাহিম নিজেও দু’টি বিয়ে করেছেন।
জহির মেম্বার আরো জানান, ইব্রাহিম সরদার পেশায় একজন টিভি মেকানিক হলেও জড়িত রয়েছেন জমাজমির ব্যবসায়। চৌরাবালি এলাকার ওই জায়গাটি ক্রয় করে ২/৩ বছর আগে বাড়ির কাজ সম্পন্ন করেন তিনি। তবে ওই বাড়িতে কখনোই বসবাস করেননি। একই উপজেলার ডেণ্ডাবর এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন ইব্রাহিম। এলাকায় যাতায়াত করেন খুবই কম।
আশুলিয়ার চৌরাবালি এলাকার ওই বাড়িটিতে জঙ্গিদের অবস্থান রয়েছে বলে শনিবার মধ্যরাতে সেখানে অভিযান চালান ৠাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (ৠাব) সদস্যরা। ভোর থেকে ওই বাড়িতে থাকা জঙ্গিদের বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।
কিন্তু এতে কর্ণপাত না করে রোববার সকালে ৠাবকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছুড়ে জঙ্গিরা। বেলা ১১টায় হেলিকপ্টার যোগে ৠাবের বিশেষ একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। একপর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে বাড়িটি থেকে একে একে বের হয়ে আসে চার জঙ্গি।
এ ঘটনায় বাড়ির মালিক ইব্রাহিমকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। তবে জীবিত অবস্থায় জঙ্গিদেরকে উদ্ধার করতেই অভিযানে বেশি সময় নেওয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান ৠাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান।
চৌরাবালি এলাকার বাসিন্দা আব্দুল বারেক জানান, দিনের বেলা কখনো ওই বাড়ির কোনো ভাড়াটিয়াকে এলাকায় দেখা যেতো না। ওই বাড়িটিতে বাসা ভাড়া করে কেউ রয়েছে এমন বিষয়টিও অনেকের অজানা ছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৭
জেডএস